,

বহিস্কৃত আওয়ামীলীগ নেতা গোলাপসহ ১৫ রাজাকারের অপকর্মের খুঁজে নবীগঞ্জে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাকিবাহিনীর সহযোগিতায় ৭১’সালে একাধিক মুক্তিযোদ্ধা সহ নিরীহ অন্তত ২০ স্বাধীনতাকামী মানুষকে হত্যা, নারী ধর্ষন, অপহরন ও বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগের দায়ে অভিযুক্ত নবীগঞ্জের রাজাকার বহিস্কৃত আওয়ামীলীগ নেতা আবুল খায়ের গোলাপ ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তবে ওই সময়ে সুন্দরী রমনীদের জোর পূর্বক উঠিয়ে পাক সেনা ক্যাম্পে সরবরাহকারী হিসেবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পরিচিত এই গোলাপের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বাদী গেদু মিয়া বাস চাপায় নিহত হলেও গোপন তদন্তে ৭১’সালে মানবতা বিরোধী অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার আভাস মেলায় ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আইজিপি আব্দুল হান্নান খান পিপিএমএ’র নির্দেশে সোমবার সকাল ৯টা থেকে এই তদন্ত শুরু করেন ঢাকা থেকে আগত আলোচিত তদন্ত কর্মকর্তা নুর হোসেনের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি টিম। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলমান নবীগঞ্জের গজনাইপুর, দেবপাড়া, কল্যানপুর ও ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বেশ কয়েকটি বাড়ী-ঘর, তাদের পরিবারের নিকটজনদের সাথে কথোপকথন, তথ্য সংগ্রহ ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহসহ পাকবাহিনী ও রাজাকারদের ক্যাম্প-টর্চাসেল পরিদর্শন করেন ওই টিম। তদন্ত চলাকালে ওই এলাকায় ৭১’সালে পাকবাহিনী ও রাজাকারদের ব্যাপক তান্ডব চালানোর সুস্পষ্ঠ তথ্য প্রমাণাদি পেয়ে রীতিমত হতবাক হন তদন্ত সংস্থার টিম। এদিকে এই অভিযুক্ত গোলাপের বিচার চান এলাকার এমন ব্যক্তিরা তদন্ত টিমের নিকট অভিযোগ রেখে বলেছে, তদন্ত কাজকে ব্যহত করার লক্ষে এলাকায় ইতিমধ্যে লাখ লাখ টাকা ছড়ানো শুরু করেছে একটি চক্র। তবে ৭১’সালে সংঘটিত ওইরকম অভিযোগ নিয়ে তদন্ত সংস্থার টিম গোলাপকে তার মতামত উপস্থাপনের সুযোগ দিলেও তাতে সাড়া মেলেনি। তার বিরুদ্ধে ৭১’সালে হত্যা, অগ্নিসংযোগ সহ নানা মানবতা বিরোধী অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে হবিগঞ্জের আরও এক কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডার মৌলানা শফি উদ্দিন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। প্রধান সমন্বয়ক আইজিপি আব্দুল হান্নান খান পিপিএম এর নির্দেশে গত রবিবার সকালে হবিগঞ্জ সার্কিট হাউজ থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নুর হোসেনের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি টিম হবিগঞ্জ সার্কিট হাউজ থেকে লাখাইয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। দিনভর এই তদন্ত চলাকালে তাদের সাথে ছিলেন সাংবাদিক রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন। মামলার বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ এবং মুক্তিযোদ্ধা টিপুর সার্বিক সহযোগিতায় তদন্ত সংস্থার সদস্যরা মুড়িয়াউক গ্রামস্থ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সম্মুখস্থ খোলা মাঠে উপস্থিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও জনপ্রতিনিধিসহ শতাধিক জনতার উদ্দেশ্যে প্রথমেই ৭১’ সালে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধ ও তার পেক্ষাপট বর্ণনা সহ রাজাকার, আলবদর-আল শাসদের কর্মকান্ড ও বর্তমান সরকারের অধীনে তাদের বিচার কার্যক্রমের পটভূমি তুলে ধরেন। স্থানীয় মানপুর গ্রামের বাসিন্দা ও তৎকালীন পাকিস্তান নেজামী ইসলামীর সহ-সভাপতি কুখ্যাত রাজাকার মে


     এই বিভাগের আরো খবর