,

বাহুবলে ৪ শিশু হত্যা মামলায় ২ আসামীর জামিন মঞ্জুর

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামে চাঞ্চল্যকর ৪ শিশু হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা ২ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তদন্তে তাদের সংশ্লিষ্ঠতা না পাওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর প্রেক্ষিতে বিচারক ওই দুইজনের জামিন মঞ্জুর করেন। একই সাথে কারাগারে থাকা অপর ৫ আসামীর জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারও মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেয়া হয়নি। আগামী ২০ জুন অভিযোগপত্রের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের জেলা জজ কিরণ শংকর হালদার। আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে ৭ আসামীর জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে বিচারক ২০ হাজার টাকা বন্ডে সালেহ আহমদ ও তার ভাই বশির আহমদের জামিন মঞ্জুর করেন। কারাগারে থাকা অন্য আসামী আব্দুল আলী ওরফে বাগাল, তার পুত্র রুবেল মিয়া ও জুয়েল মিয়া, হাবিবুর রহমান আরজু এবং সাহেদ আলী ওরফে সায়েদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। এ মামলায় এখনও পর্যন্ত পলাতক রয়েছে উস্তার মিয়া, বেলাল মিয়া ও বাবুল মিয়া। বাদিপক্ষের আইনজীবী ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন জানান, এটি একটি চাঞ্চল্যকর মামলা। চার্জশীট গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত পলাতক ৩ আসামীর বিরুদ্ধেও তেমন আইনি কোন পদক্ষেপ নেয়া যাচ্ছেনা। আদালতের নির্দেশনা না পেয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতারও করতে পারছেনা। এ অবস্থায় বাদিপক্ষের মাঝে কিছুটা আতংক থেকে যায়। উল্লেখ্য, সুন্দ্রাটিকি গ্রামের জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার চাচাতো ভাই মনির মিয়া (৭), তাজেল মিয়া (১০) ও ইসমাইল হোসেন (১০) গত ১২ ফেব্র“য়ারী গ্রামের পার্শ্ববর্তী মাঠে খেলা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। ১৭ ফেব্র“য়ারী বাড়ির অদূরে একটি বালুর ছড়া থেকে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হৃদয়বিদারক এ ঘটনাটি দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তভার পান ডিবি পুলিশের তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুকতাদির হোসেন। তিনি ৪৮ দিন তদন্ত শেষে ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট জমা দেন। এতে অভিযুক্ত করা হয়, পঞ্চায়েত সর্দার আব্দুল আলী বাগাল, তার ছেলে জুয়েল মিয়া ও রুবেল মিয়া, ভাতিজা সাহেদ আলী ওরফে সায়েদ, অন্যতম সহযোগি হাবিবুর রহমান আরজু, উস্তার মিয়া, বেলাল মিয়া ও বাবুল মিয়াকে। এছাড়া সিএনজি অটোরিকশা চালক বাচ্চু মিয়া র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় এবং ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় গ্রেফতারকৃত সালেহ আহমেদ ও বশির আহমেদকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অভিযুক্তদের মাঝে পলাতক রয়েছে উস্তার, বেলাল ও বাবুল।


     এই বিভাগের আরো খবর