,

ভেঙ্গে পড়েছে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা : ২২ জন ডাক্তারের স্থলে ৭ জন দিয়ে চলছে সেবা কার্যক্রম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। ২২ জন ডাক্তারের স্থলে ৭ জন দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন ও ইউনিয়নে ১৩ জন চিকিৎসকের পদের বিপরীতে উপজেলায় ৪ ইউনিয়নে ৩ জনের পোষ্টিং রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বেশিরভাগ সরকারী কর্মসুচী, সভা ও অফিসিয়াল কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। ফলে ৪ জন ডাক্তার দিয়েই চলছে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষাধিক মানুষ অধ্যুষিত নবীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম। জরুরী বিভাগে কোন ডাক্তার ডিউটিতে না থাকায় রোগীর চাপ সামলাতে না পারায় মেডিক্যাল এসিষ্ট্যান্ট দিয়ে জরুরী বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। অপরদিকে ময়লাযুক্ত বিছানাপত্র, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব এবং নিন্ম মানের খাবার পরিবেশনের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ আছে জরুরী বিভাগ ও ডিসপেনসারীতে ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতির। বিনামুল্যে এ হাসপাতালে কোন চিকিৎসা সেবা পাওয়া তো যায়ই না আর ঔষধ পাওয়া তো দূরের কথা। জরুরী বিভাগে দিনের বেশীরভাগ সময়ই কোন মেডিকেল অফিসার তো থাকেন না ডিউটি করেন ফার্মাসিষ্টরা। আর জরুরী বিভাগে সরকারের বিনামুল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা ও বিনামুল্যে ঔষধ থাকার বিধান থাকলেও টাকা ছাড়া কোন রুগীকেই চিকিৎসা বা প্রাথমিক প্রেসক্রিপশন দেয়া হয় না। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যা। উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে ১৩ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও শুধুমাত্র ৩টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৩ জন কর্মরত আছেন। বাকী ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোন চিকিৎসক না থাকায় জন দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ¯’ানীয় ভাবে স্বা¯’্য সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে অনেকেই উপজেলা সদরে এসে ভিড় করেন। কিন্ত এখানেও পর্যাপ্ত পরিমানে চিকিৎসক না থাকায় যথাযথ ভাবে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। প্রতিদিন যে পরিমান রোগী হয় তা সামাল দিতে না পেরে মেডিক্যাল এসিষ্টেন্ট, কখনও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ডাক্তার এনে জরুরী বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসা করা হচ্ছে। হাসপাতালের একমাত্র এ্যাম্বুলেন্স প্রায় সময় বিকল থাকে। দীর্ঘদিন ধরে জেনারেটর নষ্ট। স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে একটি অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন স্থাপিত হলেও দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ মানব দেহে তা ব্যবহার হয়নি প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের অভাবে। বিদ্যুত না থাকিলে অনেক সময় ভুতুরে পরিবেশের সুষ্টি হয়। এছাড়া পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে বৈদ্যুতিক পাখা সচল না থাকায় রোগীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নতীকরণের কাজ চলছে প্রায় এক’বছর ধরে। ওই কাজে ব্যাপক অনিয়ম,দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শুন্য পদে ডাক্তার, জেনারেটর মেরামতসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও ঔষধ সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর