,

বাহুবলে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ দিয়ে চলাচল করছে ভারী যানবাহন : বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ ঢাকা-সিলেট পুরাতন সড়কের বাহুবল উপজেলার নতুনবাজার ব্রীজ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শতশত ভারী যান চলাচল করছে। নির্মানের পর দীর্ঘ ৪৫ বছরেও কোন সংস্কার মূলক কাজ না করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ব্রীজটি। জরুরী ভিত্তিতে ব্রীজটি সংস্কার না করা হলে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয় লোকজন। ঢাকা-সিলেটের একমাত্র যোগাযোগ সড়ক ব্যবস্থা ছিল শায়েস্তাগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল-মৌলভীবাজার পুরাতন সড়ক। বিগত ১৯৭০ইং সনে ২টি আরসিসি পিলারের উপর নির্মিত হয়েছিল ১০০ফুট দৈর্ঘ্য এই ব্রীজটি। কালের পরিবর্তনে সড়কের প্রশস্থতাসহ অনেকবার সংস্কারকাজ হয়েছে। কিন্তু ব্রীজের কোন রকম সংস্কার ছাড়াই পেরিয়ে গেছে ৪৫ টি বছর। এরই মধ্যে ভারী যানবাহনের চাপে ব্রীজটির এখন হতশ্রী দশা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চালু হওয়ার পর থেকে ভারী যানবাহনের চাপ কমলেও বর্তমানে ব্রীজের উপর যে কোন যানবাহন উঠলেই ব্রীজটি যেন নড়েচড়ে উঠে। পিলারের উপরের বীমের সাথে ঢালাইয়ের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যানবাহন চলাচলের সময় ব্রীজের পাশে দাড়ালে মনে হয় যেন ভূমিকম্প হচ্ছে। এতে ওই ব্রীজটি যেকোন সময় ভেঙ্গে বড় ধরনের দূর্ঘটনা আশংকা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেরপুরের কুশিয়ারা নদীর ব্রীজে ফাটল দেখা দিলে সংস্কারের জন্য দুই সপ্তাহের জন্য ব্রীজের উপর দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ঘোষনা করে পুরাতন সড়ক দিয়ে মৌলভীবাজার ফেঞ্চুগঞ্জ হয়ে সিলেটের সাথে সড়ক যোগাযোগ চালু রাখা হয়। ফলে এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ দিয়ে দিনে রাতে যাত্রীবাহী গাড়ীসহ ৪০টনেরও বেশি বোঝাই নিয়ে শতশত ট্রাক চলাচল করছে। আর এই ট্রাক চলাচলে ব্রীজের আশপাশের গ্রামগুলোতে এক অন্যরকম উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। কখন যে ব্রীজ ভেঙ্গে গাড়ী ৫০ ফুট গভীরে পড়ে যায়। এ ব্যাপারে জেলা সওজ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ হামিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বর্তমানে লোড গাড়ী যাওয়ার ফলে কোন ক্ষতি বা ঝুঁকি হইল কি-না তা আজই আমরা দেখব। ঝুঁকি মনে হলে সেখানে ব্রীজ ডিজাইনার পাঠিয়ে তাদের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর