,

নবীগঞ্জের আলোচিত জোৎস্না হত্যাকান্ডের দেড় বছর পার : বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রধান আসামী জাকির ও তার সহযোগীরা : ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে হত্যা করার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে আলোচিত জোৎস্না হত্যা মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত প্রধান আসামী বহু অপকর্মের হুতা জাকির হোসেন ও তার সহযোগীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও রহস্যজনক কারণে তাদেরকে ধরছে না পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোর কারনে জনমনে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। যেকোন সময় ফুঁসে উঠতে পারেন এলাকাবাসী। এমনকি তাদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসূচির প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর চাকুরী দেয়ার নাম করে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উচাইল গ্রামের জোৎস্নাকে নবীগঞ্জের মদনপুর গ্রামের আব্দুল হকের নির্জন জমিতে নিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে একদল দুর্বৃত্ত। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এরপর জোৎস্নার ভাই রজব আলী বাদি হয়ে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্তের পর ডিবির ওসি মোক্তাদির হোসেন ৭ জনকে আসামী করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আসামীরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলার গন্ধা গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র জাকির হোসেন (৩৫), মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র কানা আকবর (৩৬), হাজী সামছুদ্দিনের পুত্র মহিউদ্দিন আহমেদ সুফি লন্ডনী, মদনপুর গ্রামের আব্দুল্লাহর পুত্র আলামিনসহ ৭ জন। এ মামলার অপর ৩ আসামী ছদর মিয়া, তাজ উদ্দিন, জামির মিয়া জামিনে রয়েছেন। কিন্তু হত্যাকান্ডের মূলহোতা জাকিরসহ ৪ জন এখনও আদালতে হাজির হননি। গত ২১ মার্চ ২০১৬ ইং তারিখে তাদের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়। অভিযোগ উঠেছে পরোয়ানাটি নবীগঞ্জ থানায় গেলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। মামলার বাদি অভিযোগ করেন, ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে আসামীরা তার বোনকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। বর্তমানে আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। এব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল বাতেন জানান, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


     এই বিভাগের আরো খবর