,

হবিগঞ্জের মশাজান গ্রামে ডাকাতি মামলার আসামী ধরতে গিয়ে গ্রামবাসীর সাথে পুলিশের সংঘর্ষ : পুলিশসহ আহত ২০ ॥ ডাকাতসহ ৪ দাঙ্গাবাজ আটক

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জে ডাকাতি মামলার আসামী ধরতে গিয়ে গ্রামবাসীর সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ডাকাতসহ ৪ দাঙ্গাবাজকে আটক করেছে পুলিশ। এর প্রতিবাদে সড়কে গাছ ফেলে, টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে হবিগঞ্জ-মিরপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন গ্রামবাসী। এতে ৩ ঘন্টা ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ সূত্র ও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে সদর থানার এএসআই আব্দুল লতিফসহ একদল পুলিশ ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে মশাজান গ্রামের আব্দুল মতিনের পুত্র ৪ মামলার পলাতক আসামী ডাকাত নজরুল ইসলাম খোকা (৩০) কে আটক করে নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে আব্দাবখাই গ্রামের পশু চিকিৎসক আব্দুস সহিদের পুত্র জালালকে পিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আটক করে। এ সময় তার পক্ষের লোকজন পুলিশের গাড়ি আটকে বাঁধা প্রদান করে। এ সুযোগে জালাল হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যায়। আহত এএসআই লতিফ জানান, এক পর্যায়ে খোকা ও তার লোকজন পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ ও ডাকাত নজরুল ও তার লোকজনের মাঝে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এতে এএসআই আব্দুল লতিফ ও পুলিশ সদস্য সবুজ রানা আহত হন। তোপের মুখে আব্দুল লতিফ নজরুলকে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে সদর থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এবং এ ঘটনার পর থেকে গ্রেফতার আতংকে গ্রামের অনেকেই সটকে পড়ে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আব্দাবখাই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত বিডিয়ার কর্মকর্তা আলা উদ্দিনের পুত্র কলেজ ছাত্র নুর উদ্দিন, ও তার ছোট ভাই আইডিয়াল স্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র মইন উদ্দিন, জাহাঙ্গীর ও আহাদকে আটক করে। এ ছাড়াও ডাকাত খোকাকেও আটক করে আহত অবস্থায় ও এএসআই আব্দুল লতিফকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে মশাজান ও আব্দাবখাই এবং শরীফপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুুষ রাস্তায় নেমে আসেন। তারা পুলিশের এমন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় দুই পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন মিরপুর-ধুলিয়াখাল সড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। খবর পেয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে পৌছে দোষী পুলিশদের বিচারের আশ্বাস দিলে সন্ধ্যায় অবরোধ তুলে নেয়া হয়। আহত মশাজান গ্রামবাসি অভিযোগ করেন পুলিশ অহেতুকভাবে মহিলাদের উপর লাঠিচার্জ ও ঘরে ঢুকে ভাংচুর করে। তাদের লাঠির আঘাতে মহিলা ও শিশুসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। ভাংচুরে তাদের কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। আহতরা হলেন ঃ তানজিল, নাজমা, আমিনা খাতুন, নজিরা, রেজিয়া, ফাতেমা, জাহাঙ্গীর, আব্দুস সহিদ, আব্দুল জলিল, কাদির, আলা উদ্দিন ও সামছুননাহার। এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মোঃ নাজিম উদ্দিন জানান, কোন নিরীহ লোকদের গ্রেফতার করা হয়নি। ওয়ারেন্টের আসামী ধরতে গেলে গ্রামের লোকজন আমাদের বাঁধা প্রদান করে।


     এই বিভাগের আরো খবর