,

নবীগঞ্জের পাঞ্জারাই গ্রামে রাতের আধারে শ্মশানঘাটের সীমানা পিলার তুলে ফেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জে রাতের আধারে পাঞ্জারাই গ্রামের শ্মশানঘাটের সীমানা পিলার তুলে ফেলে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ নিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। যেকোন সময় এনিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের মৌজা পাঞ্জারাই, জেএল নং- ৬৩, খতিয়ান নং- ১, দাগ নং- ৪১২, শ্রেণী শ্মশান, এরিয়া ০১.২১ একর ভুমি পাঞ্জারাই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন শ্মশানঘাটের ভুমি হিসাবে যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করে আসছেন। কিন্তু উক্ত ভুমি একই গ্রামের মৃত রেজান ক্বারীর পুত্র আলা উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, নাছির উদ্দিন ও আলা উদ্দিনের পুত্র আল-আমিন, হাবিবুর মিয়া জোর পূর্বক দখল নেওয়ার জন্য বার বার চেষ্টা করে আসছে। এ নিয়ে গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন কয়েকবার বিচার প্রার্থী হইলে ভূমি দখলকারীরা তা না মানায় বিজ্ঞ আদালতে দং নং- ১৩৩/১৬, ১০৭/১৫ দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে শ্মশানঘাটের ভূমির সীমানা নির্ধারনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং অফিসার ইনচার্জ নবীগঞ্জ থানা বরাবরে লিখিত আবেদন করিলে, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরজমিনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্মশান এর ভূমি ও বিবাদীদের ভূমি মাপ যোগ করে আলাদা করে পিলার বসিয়ে সীমানা নির্ধারন করে দেন। পরবর্তীতে এ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বৈঠক করেন বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। পরবর্তীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন উক্ত শ্মশানের ভূমিটি সীমানা ব্যবহার করে আসলেও প্রতিপক্ষের লোকজন গত শনিবার রাতে বে-আইনীভাবে মিলিত হয়ে হাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়া জোরপূর্বক শ্মশান এর ভূমিতে প্রবেশ করে দক্ষিন ও পুর্ব ও পশ্চিম দিকের ৩ টি পাকা সীমানা পিলার তুলে নিয়া যায়। এ সময় খবর পেয়ে শ্মশানঘাটের ভূমি ব্যবহারকারীগন ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদেরকে প্রাণে হত্যার ভয় দেখায়। বিষয়টি গতকাল রবিবার নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মৌখিকভাবে অবগত করা হয়। এ ব্যাপারে গতকাল রবিবার পাঞ্জারাই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের পক্ষে সুকুময় দাশ বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এভাবে শ্মশানের ভূমির সীমানা নির্ধারন প্রশাসন কর্তৃক নিস্পত্তির পরও প্রতিপক্ষের লোকজন সীমানার পিলার তুলে নিয়ে দখলে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় এলাকার নিরীহ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে আতংক তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ নিয়ে যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন গ্রামের লোকজন।


     এই বিভাগের আরো খবর