,

লাখাই’র লক্ষিপুর গ্রামে হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুরুষশূণ্য বাড়িতে লুটপাট ও ভাংচুর

লাখাই প্রতিনিধি ॥ লাখাই উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে বিজয়ী ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনী বিরোধ ও গ্রাম্য আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে ওয়াহেদ মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুরুষশূণ্য বাড়িতে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিপক্ষের লোকজন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঘটনার প্রায় ১৫/১৬ দিন পেরিয়ে গেলেও থেমে নেই পুরুষশূণ্য বাড়িতে লুটপাটের মহোৎসব। প্রতিনিয়তই দালান কোটার বাড়ি ঘর থেকে শুরু করে টিনের চালা পর্যন্ত গুড়িয়ে দিচ্ছেন তারা। একই সাথে চালিয়ে যাচ্ছে বাড়ি ঘরে থাকা মহিলাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন। জানা যায়, গত ৩০ জুন লাখাই উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে মজিবুর রহমান মেম্বারের সাথে পটল ও হিরাই মিয়ার লোকজনের নির্বাচনী বিরোধ ও গ্রাম্য আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ওই গ্রামের আব্দুস সমেদের পুত্র ওয়াহেদ মিয়া নিহত হয়। এছাড়াও আহত আরও ১৫ জন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে, ওয়াহেদ মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় মজিবুর মেম্বারের নেতৃত্বে আবুল বাশার, বাবুল মিয়া, সালাউদ্দিন, জানু, আবু সিদ্দিক, জবেদ আলী, মোহাম্মদ আলী, আলমগীর তালুকদারসহ একদল লোকজন প্রতিনিয়তই চালাচ্ছেন মধ্যযুগীয় কায়দায় প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের মহোৎসব। এসময় হুছন আলী, রফিক মিয়া, আব্দুস সামাদ, আব্দুল আহাদ, ইব্রাহিম মিয়া, নাসির মিয়া, হবিব মিয়া, হীরা মিয়া, জিতু মিয়া, হীরণ মিয়া, ছলিম মিয়া, টেনাই মিয়া, শাহেদ মিয়াসহ প্রায় শতাধিক লোকজনের বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়। এতে বাড়ি ঘরে থাকা ধান, চাউল, গরু, ছাগল, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ যাবতীয় মালামাল লুট করে নিয়ে যায় তারা। এমতাবস্থায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ওই নিরীহ পরিবারগুলো।


     এই বিভাগের আরো খবর