,

লাখাইয়ে এক সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু

লাখাই প্রতিনিধি ॥ লাখাই উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামে সালমা বেগম (২০) নামের এক সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে তার পিতার দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। হাসপাতালে লাশ ফেলে স্বামী পালিয়ে গেলে লাশ নিয়ে পুলিশ পড়ে বিপাকে। পুলিশ ও সালমার পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে একই উপজেলার সুনেশ্বও গ্রামের মোর্শেদ মিয়ার কন্যা সালমাকে তেঘরিয়া গ্রামের তাহির মিয়ার পুত্র নাঈমের নিকট বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে ৬ মাসের একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। সম্প্রতি নাঈম সালমার উপর বিভিন্ন কারণে নির্যাতন করতো। নির্যাতনের বিষয়টি প্রায়ই সালমা তার পিতা মোর্শেদ মিয়াকে জানাত। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালেও সালমা ফোনে জানায়, নাঈম তার উপর নির্যাতন করছে। এর কিছুক্ষণ পর থেকে সালমার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে নাঈম সালমাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তাকে মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হয়। দুপুরের দিকে ডাঃ গোলাম শাহরিয়ার সালমাকে মৃত ঘোষণা করলে নাঈম কৌশলে হাসপাতাল থেকে সটকে পড়ে। এদিকে বিকেল পযন্ত কেউ লাশ নিতে না আসায় সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে পুলিশ পড়ে বিপাকে। পরে সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখে। এদিকে বিকেলে সালমার স্বামী নাঈম শ্বশুর মোর্শেদ মিয়াকে ফোন করে জানায়, তার মেয়ে মারা গেছে। খবর পেয়ে রাতে মোর্শেদ মিয়া ও তার পরিবার হাসপাতালে ছুটে আসে। সদর থানার এসআই আব্দুর রহিম জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া এ মুর্হুতে কিছু বলা যাচ্ছে না।


     এই বিভাগের আরো খবর