,

জোৎস্না হত্যা মামলার প্রধান আসামী : নবীগঞ্জ পৌর কাউন্সিলর জাকির বরখাস্ত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জের আলোচিত জোৎস্না হত্যা মামলার প্রধান আসামী নবীগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাকির হোসেন-কে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ২৫ জুলাই স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোঃ আব্দুল রউপ স্বাক্ষরিত ৪৬.০০.০০০০.০৬৩.২৭.০০৫.১৬ নং স্বারকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পত্রে বলা হয়, জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানার মামলা নং ১০, তারিখ ১৪/১২/২০১৬ এর জি/আর ৩৫৮/২০১৪ (নবী) নং মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহিত হওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর চাকুরী দেওয়ার নাম করে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উচাইল গ্রামের জোৎস্নাকে নবীগঞ্জের মদনপুর গ্রামের আব্দুল হকের নির্জন জমিতে নিয়ে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। পরে ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিল মিজানুর রহমান মিজান-কে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে তার বাসার বাউন্ডারীর দেয়ালে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গের প্রেরণ করে। এরপর জোৎস্নার ভাই রজব আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার ধারা ৩০২/২০১/৩৪। দীর্ঘ তদন্তের পর ডিবির ওসি মুক্তাদির আলম চৌধুরী ৭ জনকে আসামী করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। মামলার আসামীরা হলো, নবীগঞ্জ উপজেলা গন্ধ্যা গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র জাকির হোসেন (৩৫), মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র কানা আকবর (৩৬), হাজী শামছ উদ্দিনের পুত্র মহি উদ্দিন আহমেদ সুফি লন্ডনী, মদনপুর গ্রামের আব্দুল্লার পুত্র আল-আমীন, সদর মিয়া, তাজ উদ্দিন, জামির মিয়া। এদের মধ্যে সদর মিয়া, তাজ উদ্দিন, জামির মিয়া বর্তমানে জামিনে রয়েছে। কিন্তু হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী ও বহু অপকর্মের মূল হোতা জাকির সহ ৪জন এখন পর্যন্ত আদালতে হাজির হয়নি। গত ২১ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ান ইস্যু হয়। মামলার বাদীর অভিযোগ ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে আসামীরা জোৎস্নাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। বর্তমানে জাকির সহ প্রধান আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না।


     এই বিভাগের আরো খবর