,

হবিগঞ্জে স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে আহত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ শহরের গরুর বাজার এলাকায় সওদাগর কৃষ্ণধর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাজমুল নামে এক ছাত্রকে বেরদক পিঠিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা শাজিদা বেগম। নাজমুল গরুর বাজার খাদ্য গোদাম রোড এলাকার আব্দুল আওয়ালের ছেলে ও কৃষ্ণধর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত ছাত্রের মা ফরিদা বেগম জানান, তার স্বামী আব্দুল আওয়াল প্রায় ৩ বছর ধরে ওই বিদ্যালয়ে দপ্তরী হিসেবে কর্মরত আছেন। সেখানে স্কুলের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আব্দুল আওয়ালের সাথে প্রধান শিক্ষিকা শাজিদা বেগমের মনমলিন্য চলে আসছে। আর এরই জের ধরে শাজিদা বেগম প্রায়ই আব্দুল আওয়ালের ছেলেকে পড়া না পাড়াসহ বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করেন। ছাত্রের পিতা আব্দুল আওয়াল জানান, একদিন স্কুলের লাইব্রেরি থেকে একটি বই প্রধান শিক্ষিকা একটি লাইব্রেরীতে বিক্রি করে দিয়েছেন। তখন আব্দুল আওয়ালের ছেলে নাজমুল দেখে পেলে। কিছুদিন পর ওই বইটি খোঁজাখুজি করলে নাজমুল স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয় প্রধান শিক্ষিকা বইটি একটি লাইব্রেরিতে দিয়ে দিয়েছেন। এর পর থেকেই নাজমুলকে তিনি বিভিন্নসময় বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করেন। তিনি বলেন, আমি কোন প্রতিবাদ করিনি। কিন্তু তার নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেলে আমি আমার ছেলেকে টিসি দেয়ার জন্য আবেদন করি। কিন্তু তিনি আমার ছেলেকে টিসি দিতেও রাজি না। তিনি আরো বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নাজমুলের এক সহপাঠির ব্যাগ থেকে টাকা চুরি হয়। ঘটনাটি প্রধান শিক্ষিকা জানলে তিনি নাজমুলের বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ এনে তাকে মারধর করেন। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা শাজিদা খাতুন জানান, ঘটনাটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। অমি ছাত্রকে মারধোর করিনি। এমন কি ঘটনার সময় আমি ওই ক্লাসে উপস্থিতও ছিলাম না। তিনি বলেন, টাকা চুরির অভিযোগে তার সহপাঠিরা নাজমুলকে চুর বলছিল। তখন নাজমুলের পিতা তাকে বাড়িতে নিয়ে মারধোর করে। আর এই অভিযোগটি আমার উপরে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। টিসির বিষয়ে তিনি বলেন, নাজমুলের মা টিসির জন্য এসছিলেন। কিন্তু আমি টিসি দেইনি। কারণ এখন টিসি নিলে ছেলেটি লেখাপড়া থেকে একবছর পিছিয়ে যাবে। কারণ প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে আমারও একটি দায়িত্ব আছে।


     এই বিভাগের আরো খবর