,

পইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৮ম শ্রেণী ও এসএসসি পরীক্ষার ফরম পুরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ৮ম শ্রেণী ও এসএসসি পরীক্ষার ফরম পুরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে কর্মসুচির প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগে জানা যায়, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ সামছুল হক ২০১০ সালে বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি নিজের ইচ্ছামাফিক বিদ্যালয়টি চালাচ্ছেন। তিনি নিজের ইচ্ছানুযায়ী স্কুলে আসা যাওয়া করেন বলে। ফলে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম প্রায় ভেঙ্গে পড়েছে বলে জানান অভিভাবকরা। সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষায় পাশ করে ৮ম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়। নিয়মানুযায়ী অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক সম্পূর্ণ নিজের কর্তৃত্বে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার আগে টেষ্ট পরীক্ষা নেন। এতে প্রায় ২০ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। প্রধান শিক্ষক অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদের বলে দেন, মুচলেকা সরূপ প্রত্যেককে ৫ হাজার করে টাকা দিতে হবে। নইলে তাদেরকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না। বিষয়টি ছাত্রছাত্রীরা তাদের অভিভাবকদের জানালে অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের নিকট টাকা চাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি তার সিদ্ধান্তেই অনড় থাকেন। ফলে বাধ্য হয়ে ৫ শিক্ষার্থীর অভিভাবক ৫ হাজার টাকা করে প্রধান শিক্ষকের নিকট জমা দেন। এবং প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা টাকা দিতে না পারায় তাদের জেএসসি পরীক্ষা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। বার্ষিক পরীক্ষার আগেই প্রধান শিক্ষক কেমন করে বলেন, জেএসসি পরীক্ষা দিতে পারবে না তা অভিভাবকদের বোধ্যগম্য হচ্ছে না। উল্লেখ্য, শুধু অতিরিক্ত টাকা আদায়ই নয়, প্রধান শিক্ষক সামছুলের বিরুদ্ধে সহকর্মী শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরণেরও অভিযোগ রয়েছে। একটি সুত্র জানায়, স্কুলের দেয়া কম্পিউটারসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি তিনি নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক সামছুল হক জানান, অতিরিক্ত টাকা নেয়ার প্রশ্নই আসে না। নিয়মানুযায়ী ফিস নেয়া হয়েছে। যারা টেষ্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে তারা বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারবে না।


     এই বিভাগের আরো খবর