,

নবীগঞ্জে এক কিশোরী অপহরণের বিচার চাওয়ায় পৌর এলাকার তিমিরপুরে মা-মেয়েকে হত্যার চেষ্টা

মোঃ আবু তালেব ॥ নবীগঞ্জ পৌর এলাকার পুর্ব তিমিরপুর গ্রামে অপহৃতা মেয়ের সন্ধানে মা হালেমা বেগম গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে অপহরণকারীদের বাড়িতে গিয়ে বিচার প্রার্থী হওয়ায় অপহরণকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে হালেমা বেগম ও তার শিশু কন্যাকে কুপিয়ে (২য় পৃষ্ঠায় দেখুন) আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে অপহরণকারীরা হাসপাতাল এসে তাদের ভর্তির কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাযায়, পৌর এলাকার পুর্ব তিমিরপুর গ্রামের হতদরিদ্র মৃত সোনাফর আলীর কিশোরী মেয়ে লিপি বেগম (১৪)কে একই গ্রামের মইন্না মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া গংরা মিলে বুধবার দিবাগত রাতে অপহরন করে নিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে লিপি বেগমের অসহায় মা ছালেহা বেগম মইন্না মিয়ার বাড়িতে গিয়ে অপহরণের ঘটনার বিচার প্রার্থী হয়ে তার মেয়েকে ফেরৎ দাবী করেন। এতে মইন্না মিয়ার পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে নিরীহ ছালেহাকে বিতাড়িত করে দেন। এক পর্যায়ে মইন্না মিয়ার অপর ছেলে জসিম মিয়া একদল লোক নিয়ে সুজারপুর রোডস্থ আনোয়ার লন্ডনীর ফিশারিতে গিয়ে ছালেহা বেগম(৪৫) ও তার শিশু মেয়ে হেপি বেগম(৮)কে দা’ দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এদিকে আহত ছালেহা বেগম ও তার শিশু মেয়ে হাসপাতাল আসার খবর পেয়ে জসিম মিয়া ও তার সহযোগিরা হাসপাতাল উপস্থিত হয়ে তাদের কাছ থেকে চিকিৎসার ভর্তির কাগজপত্র নিয়ে যায় এবং প্রাণনাশের হুমকী দেয়। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে পুণরায় ভর্তির কাগজ প্রদান করেন। অপর একটি সুত্রে জানাযায়, দারিদ্র ছালেহা বেগমের কিশোরী মেয়ে লিপি বেগম প্রেমের টানে রুবেল মিয়ার হাত ধরে পালিয়ে এসেছে। এ ব্যাপারে আহত ছালেহা বেগম নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর