,

আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ইতিহাসবিদ প্রফেসর ড. শিবলী নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ভাইস চ্যান্সেলর পদে যোগদান

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ইতিহাসবিদ প্রফেসর ড. আতফুল হাই শিবলী নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর ভাইস চ্যান্সেলর পদে ১৮ আগষ্ট, ২০১৬ইং বৃহস্পতিবার যোগদান করেছেন। প্রফেসর ড. আতফুল হাই শিবলী ১৯৪৪ সালের ১০ই ফেব্র“য়ারীতে গৌহাটিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক বাড়ী হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দীঘলবাক গ্রামে। তার পিতার নাম মোঃ আব্দুল হাই, এবং মাতার নাম বেগম শামসুন নাহার। তাঁর পিতা সারাজীবন শিক্ষকতা করেছেন। মোঃ আব্দুল হাই সিলেট এম.সি কলেজ, ঢাকা কলেজ ও রাজশাহী কলেজে শিক্ষকতা এবং পরবর্তীতে রাজশাহী ও কুমিল্লা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। বর্নাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী, সাদা মনের মানুষ প্রফেসর ড. শিবলী ২০০৮ সালের ৭ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগদান করেন। তিনি এ প্রতিষ্ঠানের একজন স্বনামধন্য সদস্য হিসেবে ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত একটানা ছয় বছর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। অত্যন্ত মেধাবী ও আলোকিত মুখ ড. শিবলী ১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে বিএ (অনার্স) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে উর্ত্তীন হন। একই বিভাগ থেকে তিনি ১৯৬৪ সালে এম.এ-তে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে উর্ত্তীন হন। ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শেষে’দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস বিষয়ে পি.এইচ.ডি লাভ করেন। আতফুল হাই শিবলী ১৯৬৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায়ের ইতিহাস বিভাগের লেকচারার হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৮১-১৯৮৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ড. শিবলী ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওহংঃরঃঁঃব ড়ভ ইধহমষধফবংয ঝঃঁফরবং এ পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০০ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঈবহঃৎব ভড়ৎ চড়ংঃ-এৎধফঁধঃব ঝঃঁফরবং, ঞৎধরহরহম ্ জবংবধৎপয-এর অধ্যাপক ও ডীন হিসাবে দায়িত্বও পালন করেন। তিনি সুনাম ও সুখ্যাতির সহিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোভিসি’র দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে ড. শিবলী বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে সদস্য হিসাবে যোগদান করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক অবসর গ্রহণ করেন ২০০৯ সালে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামরিক বিজ্ঞান বিভাগে দুই দফায় (১৯৭৩-১৯৭৬) এবং (১৯৮৫-১৯৮৮) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং একই বিভাগে ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবেও কাজ করেন। ড. শিবলী রচিত বহু গবেষণামূলক প্রকাশনা দেশ বিদেশের আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণামূলক প্রকাশনার পাশাপাশি প্রফেসর ড. শিবলী রচিত অন্যতম আলোচিত বইয়ের নাম হল: অনফঁষ গধঃরহ ঈযধঁফযঁৎু ড়ভ অংংধস (১৮৯৫-১৯৪৮): ঞৎঁংঃবফ ষরবঁঃবহধহঃ ড়ভ গড়যধসসধফ অষর ঔরহহধয”,২০১১ সালে প্রকাশিত। এ ছাড়াও ২০০৯ সালে ‘বাংলাদেশ সাংবিধানিক ইতিহাস (১৭৭৩-১৯৭২)’নামক গ্রন্থটিও প্রকাশিত হয়। প্রফেসর শিবলী রাজশাহীস্থ ‘হেরিটেজ আরকাইভস্ অব বাংলাদেশ হিসট্রি ট্রাস্ট’- এর একজন অন্যতম সদস্য এবং ঐ সংস্থা থেকে নিয়মিতভাবে প্রকাশিত ত্রৈমাসিক জার্নাল ‘স্থানীয় ইতিহাস’-এর সম্পাদক। বর্তমানে প্রফেসর ড. শিবলী কয়েকটি গবেষণা প্রকল্পের কাজে জড়িত রয়েছেন। তিনি দেশবিদেশের বহু সেমিনার/ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ সহ স্বল্পমেয়াদী ফেলোশীপ-এ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে গবেষণার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়াও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য হিসেবে শ্রীলংকা, ব্যাংকক, চীন, মালয়েশিয়া, ফিনল্যানড, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন ও সেমিনারেড. শিবলী অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি ভূটানে “ঝঅজজঈ টএঈ ঐবধফং” এর সপ্তম ঝঁসসরঃ-এ ইউজিসির বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি প্রফেসর শিবলী সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিভিন্ন পেশাজীবী ও অন্যান্য সংগঠনের সদস্য পদও লাভ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির আজীবন সদস্য এবং এই সমিতির সভাপতি হিসাবে (১৯৯৯-২০০৩) দায়িত্ব পালন করেছেন। ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস এলামনাই এসোসিয়েশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং অদ্যাবদি সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি কলকাতার পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদ, নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া হিস্ট্রি এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ আর্কাইভস এন্ড রেকর্ড ম্যানেজমেন্ট সোসাইটি, রাজশাহীস্থ ঐবধৎঃ ঋড়ঁহফধঃরড়হ ড়ভ ইধহমষধফবংয এর আজীবন সদস্য এবং ঐ সংস্থার সভাপতি হিসাবে (১৯৯২-১৯৯৬) দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ও ড. শিবলী ওহঃবৎহধঃরড়হধষ অংংড়পরধঃরড়হ ড়ভ ঐরংঃড়ৎরধহং ড়ভ অংরধ-এর সেক্রেটারী জেনারেল হিসেবে (২০০০-২০০২) নির্বাচিত হয়েছিলেন। অত্যন্ত মেধাবী ড. শিবলী বন্ধুবান্ধব ও সহকর্মীদের কাছে শুধুমাত্র একজন সফল শিক্ষক হিসেবেই পরিচিত নন-তিনি পরিচিত একজন সৎ, পরোপকারী, প্রাণবন্ত ও খোলামেলা মনের মানুষ হিসেবেও। প্রফেসর ড. শিবলী ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। তার যোগ্য সহধর্মীনি নাজিয়া খাতুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নার্সারী স্কুল এবং ঢাকা উইমেন কলেজে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। নাজিয়া খাতুন বর্তমানে ইজঅঈ এর অধীনে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তাদের পুত্র শাকির ও পুত্রবধূ এলমা দু’জনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উর্ত্তীন হয়ে অষ্ট্রেলিয়া থেকে দুজন মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন । বর্তমানে এলমা যুক্তরাষ্ট্রের ঐড়ধিৎফ টহরাবৎংরঃু থেকে পি.এইচ.ডি লাভ করে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা এবং শাকির বিশ্ব ব্যাংক-এর চাকুরী শেষে সমাজসেবক হিসাবে কাজ করছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর