,

মাধবপুরে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় আদালতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে দরখাস্ত মামলা দায়ের : বাদীর আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে অস্বীকার

মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ মাধবপুরে আলোচিত তিন খুনের ঘটনায় নানা রহস্যের সৃষ্টি হচ্ছে। খুনের প্রকৃত কারণ, ঘটনায় কতজন খুনি অংশ গ্রহন করেছিল তা জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে তাকিয়ে আছে জনগন। দিন যত অতিবাহিত হচ্ছে রহস্যের দানা তত প্রকট হচ্ছে। তিন খুনের ঘটনার থানায় দায়েরকৃত মামলার বাদী নিহত জাহানার ভগ্নিপতি হাজী মোঃ মোহন মিয়া ওরফে কালন মিয়া নিজেকে মামলার বাদী নয় বলে দাবী করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার আদালতে এফিডেভিট দিয়ে তিনি এ অস্বীকার করেন। কালন মিয়া তার এফিডেভিডে উল্লেখ করেন গত ২৩ আগস্ট রাতে লোকমুখে তাঁর শালিকা জাহানারা বেগম জানু স্বামী পক্ষের আত্মীয়স্বজন দ্বারা খুন হয়েছে বলে জানতে পেরে থানায় লাশ দেখতে আসেন। এ সময় পুলিশ সনাক্তকারী হিসেবে সাদা কাগজে তাঁর স্বাক্ষর নেয়। পরে এ স্বাক্ষরকৃত কাগজে মামলা লিখে এফআইআর করেন। এফিডেভিটে তিনি আশংকা ব্যক্ত করেন অপরাপর আসামীদের রক্ষা করতে পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রতারণা করে সাদা কাগজে তাঁর স্বাক্ষর নেয়। যা সে মামলা দায়েরের উদ্দেশ্যে দেয়নি। অপরদিকে স্ত্রী কন্যাসহ ৩ জনকে হত্যা এবং শিশু জাহিদকে হত্যার উদ্যেশে আক্রমনের বিচার চেয়ে গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে তারই ভাই শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন (৩২), আলাউদ্দিন (৩৮), জুয়েল মিয়া(১৯), জহুরুল ইসলাম (২০)সহ ১৩ জনের নাম উলে¬খ করে ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট আদালতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে একটি দরখাস্ত মামলা দায়ের করেন। উলে¬খ্য যে, ২৩ আগস্ট মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৮টার দিকে উপজেলার বীরসিংহপাড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী জাহানারা বেগম, কন্যা শারমীন আক্তার কে তাহের উদ্দিনসহ তাঁর লোকজন তাঁদের বসত ঘরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। এর প্রায় ঘন্টাখানেক পরে পাশ্ববর্তী আব্দুল আলীমের ছেলে শিমুল মিয়াকেও তাঁর বাড়ির পাশে রাস্তায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। পরে ঘাতক তাহেরকে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার ওসি(তদন্ত) ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বাদী পক্ষের দেওয়া একখানা দরখাস্ত আমরা জিডি মূলে আদালতে প্রেরণ করেছি। আসামীদের বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুরের খবর পেয়ে তদন্ত করেছি, তাদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর