,

আব্দুল হাই কর্তৃক আরিফ অফসেট প্রিন্টিং প্রেস এর পাওনা টাকা আত্মসাত এবং বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে আমার বক্তব্য

গত ২৩ মার্চ ২০১৪ইং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় ৭/০৩/২০১৪ইং থেকে ২০/০৩/২০১৪ইং পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে আমার আরিফ অফসেট প্রিন্টিং প্রেস থেকে নির্বাচনী পোষ্টার, লিফলেট, ব্যাজকার্ডসহ বিভিন্ন ধরণের ছাপার কাজ করান সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই ও তার ২য় স্ত্রী ডেইজি সিদ্দিকা এবং ১ম স্ত্রীর সন্তান আব্দুল্লাহ আল-মামুন শুভ ২,৯৬,৬২০/= (দুই লক্ষ ছিয়ানব্বই হাজার ছয়শত বিশ) টাকার কাজ করিয়ে নেন আমার প্রেস থেকে। ওই সময় তিনি নির্বাচনী অন্যান খরচের কথা বলে টাকার সংকটের কথা বলে পোষ্টার লিফলেট বাকীতে নিয়ে যান। নির্বাচনের পরে আমি পাওনা টাকা চাইলে তিনি টাকা দেই দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য আমি নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল গফুর চৌধুরী, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, স্থানীয় বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ারুর রহমানসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গকে বিষয়টি অবগত করি। এরপর আব্দুল হাই আমাকে ১,৬০,০০০/=(এক লক্ষ ষাট হাজার) টাকা দেয় এবং ১,৩৬,৬২০/= (এক লক্ষ ছয়ত্রিশ হাজার) টাকা বাকী থাকে। এর কিছুদিন পর আমি আমার বাকী টাকা চাইলে আব্দুল হাই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে আমি বাধ্য হয়ে নবীগঞ্জ-বাহুবল এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য এম.এ মুনিম চৌধুরী বাবু, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, নবীগঞ্জ পৌর সভার মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী, সাবেক মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু সিদ্দিকসহ অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে অবগত করি। তারাও কোন সুরাহা করতে না পারায় আমার অবশিষ্ঠ ১,৩৬,৬২০/= টাকা আদায়ের লক্ষ্যে গত ১৫/০৫/২০১৬ইং নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে একখানা অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে, নবীগঞ্জ থানার এসআই নুর মোহাম্মদ খান সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাইকে ২দিন থানায় ডেকে এনে বিষয়টি আমার সাথে সমাধান করার জন্য তাগিদ দেন। এতে তিনি কোন কর্নপাত করেননি। শেষ পর্যায়ে গত ২৪ আগষ্ট ২০১৬ইং রোজ বুধবার নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল বাতেন খাঁন উভয় পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি সমাধান করার জন্য বসেন, এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, এডভোকেট আবুল কালাম, কাউন্সিলর মোঃ আলাউদ্দিনসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। ওই দিনও তিনি পূর্বের ন্যায় আমার পাওনা টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এবং থানায় অস্বীকারের এক পর্যায়ে আমি চেলেঞ্চ করে বলি আমার সাক্ষী তাহার মামাত ভাই সাজ সুতাঘরের মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও সাজ টেইলার্স এর মালিক আজাদ ভাই যদি বলে আমি তাহার কাছে টাকা পাইনা তাহলে টাকাতু বাদ যাবেই এবং আমি যদি অন্যায় ভাবে তাহার বিরুদ্ধে বিচার প্রার্থী হয়ে থাকি তাহলে আমার বিরুদ্ধে কটুর বিচার করবেন আপনারা নেতৃবৃন্দ আমি তা মাতা পেতে নেব। এসময় তিনি বলেন, সাক্ষীতো বলবেই আমি জানি পাওনা নেই, এতেই প্রমানিত হয় আমার পাওনা টাকা সে দিবে না। তাই বিবাদী পক্ষ প্রভাবশালী হওয়ার কারণে ন্যায় বিচার না পাওয়ায় আমি নিরুপায় হয়ে অবশেষে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে টাকা আত্মসাত ও প্রতারনার মামলা দায়ের করি। মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত বিবাদী বাউসা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই ও তার ২য় স্ত্রী ডেইজি সিদ্দিকা এবং ১ম স্ত্রীর সন্তান আব্দুল্লাহ আল-মামুন শুভ’র বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। উল্লেখ্য, আমার বিবাদী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আমার পাওনা টাকা অস্বীকার করাসহ দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকা ও আরিফ অফসেট প্রিন্টিং প্রেস বর্জনের জন্য নবীগঞ্জবাসীর প্রতি আহবান করেন দৈনিক বিবিয়ানা, দৈনিক জনতার এক্সপ্রেস ও দৈনিক খোয়াই পত্রিকায় প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। যা হাস্যকর ও পাগলের প্রলাপ বটে। দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকা প্রকাশনার পর থেকে সুনামের সহিত হবিগঞ্জ জেলার সর্বস্থরের পাঠক সমাজের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এবং আরিফ অফসেট প্রিন্টিং প্রেস প্রায় ৪ বছর ধরে ছাপার কার্যক্রম সুনামের সহিত চালিয়ে আসছে। সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য মূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং আমাকে ও দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকার সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদককে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে একটি মানহানী মামলা হবিগঞ্জে বিজ্ঞ আদালতে দায়ের করেন। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই কর্তৃক মিথ্যা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য জনসাধারণ ও পাঠক সমাজের প্রতি আহবান জানাই।

প্রতিবাদকারী
মোঃ সেলিম মিয়া তালুকদার
সত্ত্বাধিকারী আরিফ অফসেট প্রিন্টিং প্রেস
ওসমানী রোড, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ।


     এই বিভাগের আরো খবর