,

নবীগঞ্জে যৌন হয়রানির অভিযোগে স্বাস্থ্য সহকারী সজল চক্রবর্তীর ৬ মাসের কারাদণ্ড

জসিম তালুকদার ॥ নবীগঞ্জে যৌন হয়রানির অভিযোগে এক স্বাস্থ্য সহকারীকে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার এ কারাদণ্ড প্রদান করেন। জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে মেয়েদের বয়সন্ধিকালের টিকাদানকালে মাইজগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী সজল চক্রবর্তী সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শারীরিকভাবে যৌন হয়রানী করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি রুম থেকে বেড়িয়ে বাড়িতে গিয়ে তার মা ও আত্বীয় স্বজনদের কাছে সজলের কর্মকান্ডের কথা খুলে বলে। এ ঘটনায় মেয়ের আত্বীয় স্বজনসহ গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে সজলকে স্কুলের একটি কক্ষে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এসময় তিনি ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে সাস্থ্য সহকারী সজল চক্রবর্তীকে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু সিদ্দিক, নবীগঞ্জ উপজেলা পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ রথিন্দ্র দেব, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জামসেদুর রহমান, স্বাস্থ্য সহকারী অজিত দাস, উপজেলা সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শামীম আহমেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী, বাউসা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান কামাল, বিশিষ্ঠ মুরুব্বী কাউছার আহমেদ, স্থানীয় মেম্বার আল-হেলাল আহমদ সহ গ্রামের কয়েক শতাধিক জনতা। উল্লেখ্য, বহু অপকর্মের হুতা সজল চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এর পুর্বেও এ ধরনের অনেক ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। সামাজিক বিচারের মাধ্যমে সে পার পেয়ে গেলেও এবার আর সে পার পায়নি। সজলের উপযুক্ত শাস্তি হওয়ায় ইউনিয়নবাসী সন্তুশ প্রকাশ করেছেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সজল চক্রবর্তী বাউসা গ্রামের শ্যামল চক্রবর্তীর পুত্র।


     এই বিভাগের আরো খবর