,

অবশেষে জয় হল প্রেমের

শেখ আবুল হোসেন ॥ উপজেলার দুইটিস্থানে অভিনব কায়দায় ২ লাখ ১০ হাজার টাকা চুরির চেষ্টাকালে আটক দুই মহিলা শানু বেগম (৩০) ও শাম্মি বেগম (৪০) ও তাদের দুই শিশুপুত্রকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। নবীগঞ্জ থানা পুলিশ গতকাল সকালে হবিগঞ্জের বিজ্ঞ হাকিম আদালতে তাদেরকে প্রেরণ করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শানু বেগম (৩০) ও শাম্মি বেগম (৪০) নামের দুই মহিলা উপজেলার বড়ভাকৈর (পূর্ব) ইউপি’র কাজীগঞ্জ বাজারের মুদি দোকানী সজলু মিয়ার ঘরে ঢুকে। মহিলারা ফ্রিজের ঠান্ডা কিছু খাবে বলে জানায়। দোকান মালিক একা থাকায় নিজে ফি”জের কাছে গেলে দুই মহিলা সজলু মিয়ার কাছে গিয়ে তার ক্যাশের দিকে যাতে চোখ না পড়ে এভাবে আগলে রাখে। অল্প সময়ের ব্যবধানে মহিলাদের শিশু পুত্ররা ক্যাশ থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার একটি বান্ডিল সরিয়ে ফেলে। দোকান মালিক কিছু বুঝে উঠার আগেই কোন দ্রব্যই তাদের পছন্দ হয়নি বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। সজলু মিয়া কিছু সময় পর ক্যাশের কাছে গেলে ড্রয়ার খোলা এবং টাকার বান্ডিল না পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে বাস স্ট্যন্ডে যান। সজলু মিয়া ওই মহিলাদেরকে বাসে দেখতে পেয়ে তাদের নামান। উপস্থিত লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে মহিলাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা টাকার বান্ডিল বের করে দেয়। পরে তারা ভুল করেছে মর্মে লোকজনকে জানিয়ে মা চাইলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই মহিলারা গতকাল সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডের মাসুক মিয়ার ডিমের আড়তে গিয়ে ভাঙ্গা ডিম কিনবে বলে মালিককে ঘরের পেছনে ডিমের কাছে নেয়। ওই ফাঁকে তাদের শিশুপুত্ররা মাসুক মিয়ার ক্যাশ থেকে ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। মহিলারা মাসুক মিয়ার দোকান থেকে বেরিয়ে পড়লে ক্যাশের চাবি নড়াছড়া করতে থাকায় দোকান মালিক ক্যাশে টাকা খুঁজে পাননি। সাথে সাথে দোকানের অনতিদূরে মহিলাদের আটক করলে টাকার বান্ডিলটি দিয়ে দেয়। পরে পুলিশে খবর দিয়ে তাদের থানায় দেয়া হয়। কোন লিখিত অভিযোগ না থাকায় গতকাল সকালে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ শানু ও শাম্মি নামের দুই প্রতারক মহিলা ও তাদের দুই শিশুপুত্র সাজু ও রাজুকে গতকাল সকালে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্টে পাঠিয়েছে। আটক মহিলাদের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সতপুরে হলেও তারা উপজেলা সদরে ভাড়া বাসায় বসবাস করে বলে স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে একটি সংবাদ গতকালের দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর