,

নবীগঞ্জে কলেজ ছাত্রী তন্নী হত্যা মামলা–ঘনিষ্ট বান্ধবী কান্তাসহ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ : প্রেমিক রানু’র বাড়িসহ আশপাশের বাড়ীতে তল্লাশী ॥ ইট জব্দ

মতিউর রহমান মুন্না/জসিম তালুকদার ॥ নবীগঞ্জের আলোচিত কলেজ ছাত্রী তন্নী রায় হত্যা মামলায় নিহত তন্নীর ঘনিষ্ট বান্ধবী কান্তা রায়, নবীগঞ্জ ইউ.কে আইসিটি ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ ফয়সল আহমেদ চৌধুরী ও ট্রেইনার নাজনীন আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের থানায় খবর দিয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে থানায় নিয়ে আসা তন্নীর বান্ধবীসহ ৩ জনের কাছ থেকে কোন তথ্য পাওয়া গেছে কি না মামলার তদন্তের স্বার্থে তা জানাতে অপারকতা প্রকাশ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা মোবারক হোসেন। পুলিশ ওই ৩ জনেরও মোবাইল কল লিস্ট সংগ্রহ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। এদের জিজ্ঞাসাবাদকালে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ.স.ম সামছুর রহমান ভুইয়া, থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ আব্দুল বাতেন খাঁন, ওসি (তদন্ত) কামরুল হাসান ও তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই মোবারক হোসেন। এছাড়া লাশের সাথে বস্তায় ব্যবহৃত ছামিন কোম্পানীর ইট জয়নগর এলাকায় সৈয়দ জাহির আলী নামের এক ব্যক্তির বাড়ির নির্মাণ কাজের ব্যবহারকালে জব্দ করেছে পুলিশ। নিহত কলেজ ছাত্রী তন্নীর লাশ উদ্ধার এবং মামলা দায়েরের পর থেকেই পুলিশ ঘটনাস্থল এবং রানু রায়ের বাড়িসহ আশপাশের বাড়ীতে তল্লাশী অব্যাহত রেখেছে। ঘটনার তদন্তে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের পাশাপাশি হবিগঞ্জের ডিবি পুলিশও মাঠে কাজ করছে বলে জানাগেছে। এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মোবারক হোসেন জানান, অপরাধীদের গ্রেফতারে পুলিশ সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নবীগঞ্জ ইউ.কে আইসিটি ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষের সাথে তন্নীর কোন সম্পর্ক ছিল কি না, তন্নী নিখোঁজের দিন প্রেমিক রানু রায় নবীগঞ্জ ইউ.কে আইসিটি ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ ফয়সল আহমেদ চৌধুরীকে মোবাইলে ফোন দিয়েছে কি না এসমস্ত ব্যাপারে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন এলাকাবাসী। একটি সুত্র দাবী করেছে, তন্নী রায় নিখোঁজ হওয়ার দিন বিকেলে প্রেমিক রানু রায় তন্নীর বান্ধবী কান্তা রায়ের সাথে যোগাযোগ করে তন্নীর খোঁজখবর নেয়। এ সময় রানু রায় ইউ.কে আইসিটি ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ ফয়সলের মোবাইল নম্বারটিও সংগ্রহ করে। তবে ফয়সল আহমদ দাবী করেছেন, রানু রায়ের সাথে তার কোন প্রকার যোগাযোগ বা ফোনে কথা হয়নি। এছাড়া কান্তা তন্নীর খুবই ঘনিষ্ট বান্ধবী হওয়ায় অনেক কিছুই জানতে পারে বলেও মনে করেন এলাকাবাসী। অপর একটি সূত্রে জানাগেছে, নবীগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অধীর রায়ের পুত্র অপু রায়ের সাথেও নিহত তন্নীর একসময় গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত শনিবার বেলা দেড় টার দিকে তন্নী রায় নবীগঞ্জ ইউ.কে আইসিটি ইন্সটিটিউটে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বেড় হয়ে আর ফিরে আসেনি। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করার ৩ দিনের মাথায় কলেজ ছাত্রী তন্নী রায়ের বস্তাবন্দি লাশ নবীগঞ্জ পৌর এলাকার গরমুলিয়া ব্রীজের নিচ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের ৩ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে পুলিশের দাবী জড়িতদের গ্রেফতারের জোর তৎপরতা চলছে।


     এই বিভাগের আরো খবর