,

নবীগঞ্জে দিনমজুরের কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে এক লম্পট। সামাজিকভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়েছে ওই লম্পট ও তার লোকজন। নিরুপায় হয়ে কিশোরীর দিন মুজুর পিতা লম্পট আজিদ মিয়াসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৫ ফেব্র“য়ারি উপজেলার রায়পুর গ্রামের রিকশা চালক আব্দুল মালেকের কিশোরী কন্যার সাথে একই এলাকার আজিদ মিয়ার কন্যা এ্যালী বেগমের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। আজিদ মিয়া সম্পর্কে ওই কিশোরীর দুলাভাই ও এ্যালী বেগম বান্ধবী হওয়ায় প্রায়ই তাদের বাড়িতে যাওয়া আসা করতো ওই কিশোরী। সম্পর্কে শ্যালিকা হওয়ায় আজিদ মিয়া প্রায়ই তার সাথে ঠাট্টা মশকরা করতো। গত ১৫ ফেব্র“য়ারি আজিদ মিয়ার স্ত্রী পিত্রালয়ে চলে গেলে তার কন্যা এ্যালী বেগম বাড়িতে একা থাকে। তার সাথে রাতে থাকার জন্য ওই কিশোরীকে বলে। পরস্পর আত্মীয় হওয়ায় ওইদিন রাতে আব্দুল মালিক তার কন্যাকে এ্যালি বেগমের সাথে থাকতে দেন। ওইদিন রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় লম্পট আজিদ মিয়া কিশোরীকে মুখে চাপ দিয়ে তার ঘরে নিয়ে যায় এবং হাত-পা বেঁধে রাতভর ধর্ষণ করে। সকালে সে বাড়িতে গেলে তার শারিরীক অবস্থা দেখে আব্দুল মালিক কি হয়েছে জানতে চায়। পরে কিশোরী সবকিছু খোলে বললে লম্পট আজিদ মিয়ার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। তারা বিষয়টি সামাজিকভাবে মিমাংসার কথা বলে আব্দুল মালিককে আশ্বস্থ করে। কিশোরীর শারিরীক অবস্থা দিন দিন অবনতি হলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নবীগঞ্জ উপজেলার ডক্টরস ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ধরা পড়ে ওই কিশোরী অন্তঃস্বত্তা হয়েছে বলে রিপোর্ট আসে। এ বিষয়টি আজিদ মিয়ার পরিবারকে জানালে তারা আবারো আশ্বাসের নামে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। এক পর্যায়ে নিরুপায় দিনমুজুর গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিচারের আশায় নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিতে যায়। বিস্তারিত শুনে ওসি তাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। সে প্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে আজিদ মিয়া, দিলশাদ মিয়া ও ওয়াইশ মিয়াকে আসামী করে মামলা করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে রুজু করার নির্দেশ দেন।


     এই বিভাগের আরো খবর