,

চাল বণ্টনের তালিকায় অস্তিত্বহীন মণ্ডপের নাম

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারি বরাদ্দের চাল বণ্টনের তালিকায় অস্তিত্বহীন মণ্ডপের নাম দেয়া হয়েছে। এমনকি রয়েছে পারিবারিক মণ্ডপের নামও। অথচ এগুলো সরকারি বরাদ্দপ্রাপ্তির যোগ্য নয়। আবার কোনো বরাদ্দ পাননি বলেও দাবি করেছেন এসব মণ্ডপের কর্ণধার। এ অবস্থায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে প্রশ্ন জেগেছে, কারা এসব মণ্ডপের নামে সরকারি বরাদ্দের চাল নিয়ে যাচ্ছে। ধর্মীয় উৎসব নিয়েও যদি এমন হয়, তবে আর বাকি থাকে কী। কেউ যদি বরাদ্দ না নেয় বা কোথাও পূজা না হয় তবে সেক্ষেত্রে বরাদ্দ সরকারি কোষাগারে জমা থাকবে বলে দাবি করে হবিগঞ্জ পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পীযুষ চক্রবর্তী জানান, এ বছর পৌর এলাকায় ৩১টি মণ্ডপে সার্বজনীন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব মণ্ডপে সরকারি বরাদ্দের জন্য তালিকা চাওয়া হয় ২ মাস আগে। তখন তো বোঝা যায় না কোনগুলোতে পূজা হচ্ছে, আর কোনগুলোতে হচ্ছে না। তাই গত বছরের তালিকাই দেয়া হয়েছিল। এর মাঝে এ বছর কয়েকটিতে পূজা হচ্ছে না। এখন যদি কোনো মণ্ডপে পূজা না হয় বা ব্যক্তিগত পর্যায়ের মণ্ডপে যদি কেউ না নেয় তবে তা সরকারি কোষাগারে জমা থাকবে। বরাদ্দও বাতিল হয়ে যাবে। পূজা উদযাপন পরিষদ সংশ্লিষ্টরা জানান, এ বছর হবিগঞ্জ পৌর এলাকার ৩১টি মণ্ডপে সার্বজনীন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছরই সার্বজনীন পূজা উদযাপনের জন্য সরকার বরাদ্দ দিয়ে থাকে। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি। যদিও এ বছর ৩১টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন হচ্ছে, তবুও সরকারি বরাদ্দ পাওয়ার জন্য ৩৬টি মণ্ডপের তালিকা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি সার্বজনীন মণ্ডপের জন্য সরকার থেকে ৫শ’ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৬টি মণ্ডপের মাঝে তিনটি মণ্ডপের কোনো অস্তিত্বই নেই। আর দুটি মণ্ডপে ব্যক্তিগত পর্যায়ে পূজা উদযাপন হয়ে থাকে। সরকারি বরাদ্দের তালিকার অন্তর্গত ব্যক্তিগত পর্যায়ের কালীগাছতলা এলাকার একটি পূজামণ্ডপের কর্ণধার ডা. অসিত রঞ্জন দাস জানান, তারা কখনও কোনো সরকারি বরাদ্দ গ্রহণ করেননি। এবারের তালিকা সম্পর্কেও তিনি অবগত নন। একই কথা জানান, অপর একটি মণ্ডপের কর্ণধার হরেকৃষ্ণ দাসও।


     এই বিভাগের আরো খবর