,

মাধবপুরে আলোচিত ট্রিপল হত্যা মামলা : তদন্তে অবহেলা ও আসামীদেরকে বাঁচানোর চেষ্টার অভিযোগ

মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ মাধবপুরে আলোচিত তিন খুনের ঘটনায় পুলিশ যথাযথভাবে তদন্ত করছেনা বলে অভিযোগ নিহতদের পরিবারের। পাশাপাশি হত্যার সাথে জড়িতদেরকে বাচাতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রহম আলীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ তাদের। মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে নিহত জাহানার খাতুনের স্বামী, শারমীন আক্তারের বাবা ও শিমুল মিয়ার চাচা সৌদি আরব প্রবাসী গিয়াস উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি ৯১ সাল থেকে সৌদি আরবে থাকেন। তার ছেলেও প্রবাসে থাকেন। পারিবারিকভাবে তারা সকলেই পৃথক। তার পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ও উন্নতি দেখে হিংসা থেকে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। হত্যাকান্ডে ৭/৮ জনের বেশী লোক জড়িত থাকলেও পুলিশ মাত্র ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। একজন লোক কিভাবে ঘর ভেঙ্গে প্রবেশ করে ৩ জন লোককে মারে এবং ১ জনকে আহত করে। আর যারা আশে পাশে থেকে ঘটনা দেখেছেন পুলিশ তাদের কোন স্বাক্ষী নেয়নি। মোহন মিয়া অভিযোগ করেন, তাকে লাশের সনাক্তকারী হিসাবে সাদাকাগজে দস্তগত নিয়ে মামলার বাদী করা হয়েছে। ঘটনার পর কোন পুলিশ বা তদন্তকারী কর্মকর্তা তার কাছে একবারও যাননি। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, আবু শ্যামা ও আব্দুল আলম। এ ব্যাপারে মাধবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রহম আলী বলেন, আমি এসব ব্যাপারে কিছু জানিনা। ঘটনার সময় তিনি চৌমুহনী বাজারে ছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে সান্তনা দিয়েছেন এটি আল্লাহর ইচ্ছায় হয়েছে বলে। তিনি আসামীর বিষয়ে কিছুই বলেননি বলে জানান। আর যদি তিনি এমনটি বলে থাকেন তাহলে তারা এটি প্রমাণ করুক। মাধবপুর থানার ওসি মোক্তাদির হোসেন জানান, এই মামলাটির তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ। তিনি এ ব্যপারে কিছু বলতে পারবেন না। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবির ওসি আজমিরুজ্জামান বলেন, আসামী নিজেই আত্মসমর্পণ করে আদালতে স্বীকার করেছে সে তিনজনকে হত্যা করেছে। সেখানে অন্য লোকজনকে হয়রানীর জন্য নিহতের পরিবার চেষ্টা করছে। ঘটনার সময় যদি স্বাক্ষী থেকেই থাকত তাহলে তারা কেন একের পর এক মার্ডার হল কিন্তু বাধা দিল না। মূলত বাদী পক্ষ পুলিশকে দিয়ে অন্য মানুষকে হয়রানী করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এ ধরনের অভিযোগ করছে। প্রসঙ্গত, গত ২৩ আগস্ট রাতে মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের বীরসিংহপাড়ায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আবু তাহের নামে এক ব্যাক্তি তার আপন ভাবী জাহানারা খাতুন, ও অন্তঃস্বত্ত্বা ভাতিজি শারমীন আক্তার এবং প্রতিবেশী শিমুল মিয়া কে ছোড়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী ঘাতক তাহির উদ্দিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। আবু তাহের এই নির্মম খুন করার পরও সে ছিল নির্বিকার। পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করে। এমনকি আদালতে ১৬৪ ধারায়ও জবানবন্দি দেয়।


     এই বিভাগের আরো খবর