,

দলীয় শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর আওয়ামী লীগ

সময় ডেস্ক ॥ দলীয় শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর হচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এবং দলের সুনাম ক্ষুণœকারীরা কোনোভাবেই পার পাবে না। অপকর্মে জড়িত নেতা-কর্মীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে। অস্ত্রবাজির অভিযোগে রাজধানীতে তিন ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ গণমাধ্যমে আসায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন দলের উপজেলা কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম, হরিপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ফারুক আহমেদ ও চাপৈরতলা ইউনিয়নের সভাপতি সুরুজ আলী। তাদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে জেলা শাখা। এর আগে দলে শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে সম্প্রতি রাজধানীর গুলিস্তানে হকার উচ্ছেদ অভিযানকালে অস্ত্র ব্যবহারের ঘটনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন এবং ওয়ারী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর কয়েক দিন আগে রাজধানীর কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন অস্ত্র ও মাদকসহ পুলিশের হাতে আটক হন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এদিকে গত ৩০ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিজ কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হক। স্থানীয় এমপির গ্র“পের সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালায় মর্মে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি আমজাদ হোসেন মিলনসহ ২৫ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এবং শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক আবদুস সাত্তারকে দায়িত্ব দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দলের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে নব গঠিত কমিটি নিয়ে সারা দেশ সফরে নামবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে কেন্দ্রীয় নেতারা দলকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি জনগণের সমস্যাগুলোও চিহ্নিত করে সরকারকে অবহিত করবেন। এ মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে দলীয় নেতাদের কর্মকাণ্ডের ওপর। এলাকায় যেন আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকে সে জন্য স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তা খতিয়ে দেখে সত্যতা মিললে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।


     এই বিভাগের আরো খবর