,

অনিয়ম দুর্নীতি লাগামহীন লোকসানী বাগানে পরিণত রূপাইছড়া রাবার বাগান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের বৃহত্তম রাবার বাগান হিসেবে বাহুবল উপজেলার রূপাইছড়া রাবার বাগান বর্তমানে লোকসানী বাগানে পরিণত হয়েছে। এর একমাত্র কারণ অব্যাহত দুর্নীতি। বাগানে আগের মত চাক্যচিক্যতা আর নেই। ব্যবস্থাপক থেকে ধরে পুরো স্টাফের মাঝে নেই পারস্পরিক হৃদ্যতা দায়িত্বপালনে সততা। সেবাই যেন ‘খাই খাই নীতি’তে চলছেন। ‘কার বাড়ির গরু কে দেয় ধোয়া’ এমন নীতিই সবার মাঝে বিরাজ করছে। এমতাবস্থায় কি একটি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন সম্ভব? এমনটাই মন্তব্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের। খোজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে বাগানে প্রতি মাসেই ২০-২২ লাখ টাকা ভর্তূকি দিচ্ছেন বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় বাগান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাগানে অভ্যন্তরিন দুর্নীতিও প্রকট রয়েছে। খোজ নিয়ে জানা যায়, টেপার স্বল্পতার কারণে বাগানে ৫০-৬০টি টেপিং ব্লক বন্ধ থাকে। এমতাবস্থায় বকুল মিয়া নামে একজন টেপারকে সুপার ভাইজার হিসেবে দায়িত্ব প্রদান ও বদলীকৃত পদায়ন করা কতটুকু বিধিসম্মত তা খতিয়ে দেখার দাবী রাখে। এছাড়া কারখানায় দুজন সুপারভাইজর থাকা সত্বেও আফরোজ আলীকে ১১নং উৎপাদন এলাকা থেকে কারখানায় বদলী করা রহস্যজনক বলে মনে করছেন অনেকেই। আর ৯নং উৎপাদন এলাকা থেকে ১১নং উৎপাদন এলাকায় টেপার বকুলকে বদলী করেছেন। এবার টেপার নয় যে কাজ সুপার করে থাকেন সেই কাজই বকুল করবে। যেমন টেপার, চুক্তিভিত্তিক টেপার, পিচমিল টেপারদের দৈনন্দিন হাজিরা নিশ্চিত ল্যাটেক্স স্লিপ প্রস্তুত করা। এমন অফিস আদেশই জারী করেছেন বাগান ব্যবস্থাপক মোঃ মফিজুল হক খান। এসব বিষয়ে তার সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন বকুলকে সুপাইভাইজার হিসেবে দায়িত্বপ্রদান ও পদায়ন করা উর্ধতনের হলেও আমি বাগানের স্বার্থেই করেছি। এছাড়া বাগানে রাবার গাছ পুরনো হওয়ায় উৎপাদন কমে যাচ্ছে বিধায় তেমন আয় হচ্ছে না। তবে আমরা দুর্নীতি প্রতিরোধে নজরদারী বাড়িয়েছি। অথচ বাগানে বালু খেকোদেরও রয়েছে আনাগোনা।


     এই বিভাগের আরো খবর