,

প্রকল্প সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলন : আজমিরীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও পিআইও এর বিরুদ্ধে লেট্রিন নির্মানের টাকা আত্বসাতের অভিযোগ

সংবাদদাতা ॥ আজমিরীগঞ্জের বদলপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুষেনজিত চৌধুরী ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা-পিআইও মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে পাহাড়পুর আদর্শ কলেজের লেট্রিন নির্মানের ১ লক্ষ টাকা আত্বসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। লেট্রিন নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি হীরা লাল দাসের স্বাক্ষর জাল করে এ অর্থ উত্তোলন করে আত্বসাত করা হয়েছে। পাহাড়পুর আদর্শ কলেজের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য এড. মোঃ আব্দুল মজিদ খান লেট্রিন নির্মানের জন্য ১ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেন। লেট্রিন নির্মাণ না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে প্রকল্প কমিটির সভাপতি হীরা লাল দাস তার স্বাক্ষর জাল করে সরকারী টাকা উত্তোলনের সাথে জড়িত পিআইও মোহাম্মদ আলী ও ইউপি চেয়ারম্যান সুষেনজিত চৌধুরীর কাছ থেকে টাকা উদ্ধার পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন। জানা যায়, এড. মোঃ আব্দুল মজিদ খান এমপি পাহাড়পুর আদর্শ কলেজের লেট্রিন নির্মাণ বাবদ এক লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেন। লেট্রিন নির্মাণ প্রকল্পের জন্য সংসদ সদস্যের অনুমোদিত কলেজের দাতা সদস্য হীরা লাল দাসকে সভাপতি করে ৫ সদস্যের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়। গত ২০ জুন ও ২৭ জুন হীরা লাল দাস প্রকল্পের টাকা উত্তোলনের জন্য গেলে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ আলী প্রকল্পের কোনো টাকা আসেনি বলে গালমন্দ করে ফিরিয়ে দেন। গত ১৩ নভেম্বর দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের এমএলএসএস আব্দুল গফুর মিয়া হীরা লাল দাসকে মোবাইল ফোন করে জানান দ্রুত সময়ের মধ্যে পাহাড়পুর আদর্শ কলেজ উন্নয়ন প্রকল্পের মাস্টার রোল দাখিল করা না হলে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। পরে তিনি খোজ নিয়ে জানতে পারেন পাহাড়পুর আদর্শ কলেজের লেট্রিন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখিয়ে গত ২০ জুন ৫০ হাজার টাকা এবং ৩০ জুন ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বিষয়টি তিনি কলেজ পরিচালনা কমিটিকে অবগত করলে কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য ২নং বদলপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুষেনজিত চৌধুরী জানান- “প্রকল্পের টাকা আমি উত্তোলন করেছি। আপাততঃ লেট্রিন নির্মানের প্রয়োজন নাই। যখন প্রয়োজন হবে তখন করা যাবে”। হীরা লাল দাস জানান “সুষেনজিত চৌধুরী প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবান হওয়ায় কেউ তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করেনি। আজমিরীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, ইউপি চেয়ারম্যান সুষেনজিত চৌধুরীসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা একে অপরের সহযোগিতায় আমার স্বাক্ষর জাল করে সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খানের দেয়া বরাদ্ধের ১ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে সমুদয় টাকা আত্বসাত করেছেন”। এব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর