,

নবীগঞ্জে জ্যোৎস্না হত্যা মামলার আসামী মাহফুজ মিয়া গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার গন্ধ্যা গ্রামের পৌর কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিজানের বাড়ীতে উদ্ধারকৃত ৬ সন্তানের জননী জ্যোৎস্না বেগম (৩৬) হত্যা মামলার অন্যতম আসামী মাহফুজকে পুলিশ গ্রেফতার করে থানা হাজতে আটক করেছে। গতকাল শনিবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী, দারোগা আশিকুল ইসলাম সহ একদল পুলিশ নিয়ে হবিগঞ্জ সদর থানার লস্করপুর ইউনিয়নের সুলতানশী মাজার থেকে মাহফুজ মিয়া (৪০) কে গ্রেফতার করেছে। আটককৃত মাহফুজের বাড়ী হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার (২য় পৃষ্ঠায় দেখুন) করাব গ্রামে। মৃত আলফু মিয়ার ছেলে মাহফুজ মামলা দায়েরের পর থেকে গাঁ ঢাকা দেয়। গত ১৪ ডিসেম্বর রবিবার জ্যোৎস্না বেগমের বড় ভাই রজব আলী ফকির বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার ৬ দিনের মাথায় গ্রেফতার হওয়ায় এলাকার জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ঘটনার পর থেকে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে এলাকাবাসী মাহফুজ এবং জাহেদা বেগমকে গ্রেফতারের জোর দাবী জানিয়ে আসছিলেন। পুলিশ তাদের গ্রেফতারে তৎপর সারাশি অভিযান পরিচালনা করে। ঢাকার গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে এস আই আশিকুল ইসলাম আসামী মাহফুজ ও জাহেদাকে গ্রেফতারের তৎপরতা অব্যাহত রাখে। গ্রেফতারকৃত মাহফুজকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে নিহত জ্যোৎস্না বেগমের মৃত্যুর ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। গত ১৪ ডিসেম্বর রবিবার জ্যোৎস্না বেগমের বড় ভাই রজব আলী বাদী হয়ে পৌর কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিজান, লাখাই উপজেলার করাব গ্রামের মৃত আলফু মিয়ার ছেলে মাহফুজ মিয়া, মিজানের গাড়ীর চালক সাইফুল, হবিগঞ্জ সদরের ভাটপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ আলীর ছেলে আবদুল মালিক, নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের রানীগাঁও গ্রামের সাহেব আলীর মেয়ে জাহেদা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। নিহতের পরিবার দাবি করেন, জ্যোৎস্না বেগম পড়ালেখা জানতো না, সে কিভাবে চিরকুট লিখবে। ৬ সন্তানের জননী জ্যোৎস্না বেগম আত্মহত্যা করতে পারে বলে তারা বিশ্বাস করেননা। এদিকে সাইফুলের ভগ্নিপতি ব্যবসায়ী আব্দুর গফুর তার শ্যালক সিএনজি অটো রিক্সা চালক সাইফুলকে নির্দোষ দাবি করে জানান, ধান চুরির ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসী আল-আমীনকে সাশিয়ে ছিল কাউন্সিলর মিজান। এ ঘটনার পর থেকে কাউন্সিলর মিজানের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে ডাকাত আল আমিন। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, আল-আমীনের অপর সহযোগী সদর মিয়ার সাথে রানীগাঁও গ্রামের জাহেদা বেগমের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের স¤পর্ক রয়েছে। ফলে আল-আমীন সদরকে দিয়ে ওই জাহেদার মাধ্যমে জ্যোৎস্নাকে সংগ্রহ করে নির্মম এই হত্যাকান্ডটি সংঘটিত করেছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর ভোরে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্ধ্যা গ্রামে কাউন্সিলর মিজানুর রহমানের বাড়ির সীমানার প্রাচীরের ভেন্টিলিটার’র সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় হবিগঞ্জের উচাইল চারিনাও এলাকার গৃহবধু ৬ সন্তানের জননী জ্যোৎস্না বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ এলাকার শত শত মানুষের ভিড় জমে। এক পর্যায়ে কাউন্সিলর মিজানুর রহমান আত্মগোপনে চলে যান। ঘটনার সুষ্ট তদন্তের স্বার্থে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ লিয়াকত আলী নিজেই মামলার তদন্তভার গ্রহন করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর