,

পানিউমদা ইউনিয়নে শিক্ষা, জঙ্গিবাদ দমন, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, যৌতুক ও শিশু নির্যাতন বন্ধে মতবিনিময় সভা

স্টাফ রির্পোটার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩নং পানিউমদা ইউনিয়ন কমপ্লেক্সে মানসম্মত শিক্ষা, জঙ্গিবাদ দমন, মাধকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রনে জনসচেতনতা সৃষ্টি, নারী ও শিশু নির্যাতন রোধ, যৌতুক নিরোধ এবং বাল্য বিবাহ প্রতিরোধের লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টির বিষয়ে মতবিনিময় সভা গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইজাজুর রহমানের সভাপতিত্ব ও প্রভাষক মোঃ আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজিনা সারোয়া, রাগিব রাবেয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ এনামুল হক। এছাড়া অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্যানেল চেয়ারম্যান ১ মোঃ আরজদ আলী, ইউপি সদস্য মোঃ মুহিত মিয়া, যুবলীগ নেতা অনু আহমদ, শিক্ষক এনামুল হক, শিক্ষিকা ডলি রানী দেব। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র শুভাগমন উপলক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে মানপত্র পাঠ ও প্রদান করেন ইউপি সচিব মোঃ ছিদ্দিক আলীসহ এ সময় মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারগন এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সভায় জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে গনসচেতনতা সৃষ্টি করে তা প্রতিরোধ করা, কোন ভাবেই অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে না দিয়ে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। শেষে তিনি পানিউমদা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন ও শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এবং শিক্ষার মান্যেন্নয়নে শিক্ষকদের দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ প্রদান করেন। সভায় যুবসমাজ সহ উপস্থিত সবাই জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে এক সাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার হার ১০০% নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই এবং আইন শৃংখলাকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে মাদক মুক্ত করতে হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার তার বক্তব্যে বলেন, প্রাইমারী শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিটি স্কুলে মিড ডে মিল চালু করতে হবে। তিনি বলেন, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে অভিভাবক, জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক কোন কিশোরীকে যেন প্রাপ্ত বয়স্কের সনদ প্রদান না করা হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমান বলেন, মানসম্মত শিক্ষা জঙ্গিবাদ, বাল্য বিবাহ যৌতুক, শিশু নির্যাতন ও অবাধে মাদক নিরসনে তার পরিষদের আন্তরিক চেষ্টা থাকবে যাতে করে উল্লেখিত বিষয় থেকে ইউনিয়নকে মুক্ত রাখা যায়।


     এই বিভাগের আরো খবর