,

এনটিভি’র সাংবাদিক তছনু’র উপর হামলায় ঘটনায় থানায় মামলা : সন্ত্রাসী আবুল হোসেন কারাগারে

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দিন দুপুরে ট্রাক্টর দিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্যোশে ব্যর্থ হয়ে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র সহ জি.আইপি ষ্ট্যালের পাইপ দিয়ে এলোপাতারি হামলায় গুরুত্বর আহত অবস্থায় নবীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানখার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গতকাল রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে সে এখনো আশংখামুক্ত নয়! জানাযায়, গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাংবাদিক মহিবুর রহমান চৌধুরী তছনু পেশাগত কাজে মোটরসাইকেল যোগে প্রতিদিনের ন্যায় ল্যাপটপ, ক্যামেরা সহ অন্যান্য জিনিসপত্র সাথে নিয়ে কুর্শি ইউনিয়নের ফুটারমাটি নিজ গ্রাম থেকে মহাসড়কের বিজনার পাড়ে সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ এনটিভিতে পাঠানোর কাজে যাওয়ার পথিমধ্যে নবীগঞ্জ- আউশকান্দি সড়কের ফুটারমাটি গ্রামের প্রবেশ মুখে হঠাৎ একটি ট্রাক্টর যোগে ৫/৬ জন সন্ত্রাসীরা পথরোধ করে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল সহ তছনুকে চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তছনু ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেলেও কোন কিছু বুজে উঠার আগেই সন্ত্রাসীদের হাতে দা, রামদা, রড ও জি.আই পাইপ দিয়ে এলোপাতারি হামলা চালিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা নগদ টাকা পায়সা ও প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় তছনুর আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় একই এলাকার এনাতাবাদ গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের পুত্র আবুল হোসেন (২৫) কে স্থানীয় জনতা আটক করে উত্তম মধ্যম দেয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার এস আই সুজিত চক্রবর্তী একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছলে স্থানীয় জনতা হামলাকারী আবুল হোসেনকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। গতকাল রাতে নবীগঞ্জ থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উক্ত মামলার আসামী এনাতাবাদ গ্রামের মনর উল্লার পুত্র আতা মিয়া (২৭), হরিধরপুর হাল সাং- বাংলাবাজারের আব্দুল মন্নানের পুত্র আব্দুল হান্নান (৩৫), সাদুল্লাপুর গ্রামের সুজন চৌধুরীর পুত্র নজরুল ইসলাম (৩৮), সমরগাঁও গ্রামের আফতাব মিয়ার পুত্র দুলাল মিয়া (৩০) সহ আরো ২/৩জন। হামলাকারী অন্যান্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ সাংবাদিক ও সুশিল সমাজের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। মামলার বিবরণে আরো জানা যায়, ফুটারমাঠি গ্রামের প্রবেশমূখে পৌছা মাত্রই পূর্ব হইতে ওৎ পেতে থাকা আসামীরা দা, রামদা, জিআই পাইপ, লোহার রড সহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেআইনী ভাবে মাহিন্দ্র কোম্পানীর ১টি ট্রাক্টর গাড়ী রাস্তায় হত্যার উদ্যোশে মোটরসাইকেল সহ পথরোধ করে আব্দুল হান্নানের হুকুমে আবুল হোসেন ট্রাক্টর গাড়ীটি দ্রুত চালিয়ে চাপা দেওয়া চেষ্টা করে। এতে প্রাণ রক্ষা করতে মোটরসাইকেল হইতে নেমে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে সন্ত্রাসীরা চতুরদিকে ঘেরাও করে বেধরক মারপিট করে। আবুল হোসের হাতে থাকা রামদা দিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্যোশে মাথায় কুপ মারে, নজরুলের হাতে থাকা রড দিয়া মাথায় বাড়ি দিলে মাঠিতে পড়ে গেলে তছনুর সাথে থাকা সাইট ব্যাগ ও ব্যাগে থাকা ১টি প্যানাসনিক এইস-ডি ক্যামেরা যার মূল্য ৩ লক্ষ টাকা ও ১টি এইচ পি কোম্পানীর ল্যাপটপ ৪০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়। আতা মিয়া তছনুর বাম সাইডে ঝুলানো ১টি ডি.এস.এল.আর কোম্পানীর ক্যামেরা যার মূল্য ৩০ হাজার টাকা ও আব্দুল হান্নান পকেট থেকে নগদ ১১ হাজার ৩ শত ৩৫ টাকা নিয়ে যায়। তছনুর আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতারে প্রেরন করেন। উক্ত মামলার প্রধান আসামী এনাতাবাদ গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের পুত্র আবুল হোসেনকে পুলিশ পর দিন গতকাল বুধবার সকালে হবিগঞ্জ কোর্টে পাঠালে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে হবিগঞ্জ কারাগারে প্রেরণ করেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর