,

কনকনে শীতে চরম দুর্ভোগে শ্রমজীবি মানুষ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি \ গত দুই দিন ধরে পৌষের শীত জেঁকে বসেছে হবিগঞ্জে। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডা বাতাস শীতার্ত দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলেছে। শীতের হাত থেকে বেঁচে থাকায় সকাল-সন্ধ্যায় খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে ছিন্নমূল মানুষ। আর এতে ঘটছে দূর্ঘটনা। গত দুইদিনে শীত নিবারণে আগুন পোহাতে গিয়ে হবিগঞ্জে দ্বগ্ধ হয়েছে অন্তত ১০ জন। তাদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ফলে গত কয়েকদিন ধরেই হবিগঞ্জে প্রচন্ড শীত বিরাজ করছে। ঠান্ডাজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এসব রোগে আক্রান্ত পরিবারের বৃদ্ধ আর শিশুদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল অতিরিক্ত রোগী সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার মিঠুরচক গ্রামের আবুল কালামের কন্যা ফাহিজজা (৩), লুকড়া গ্রামের ইসহাক আলীর পুত্র রাব্বি (১৭), অলিপুর গ্রামের আলমগীর মিয়ার কন্যা শামী আক্তার (৪), হবিগঞ্জ শহরের এড়ালিয়া গ্রামের জাবির রহমানের পুত্র নাহিদ (২) আগুন পোহাতে গিয়ে দ্বগ্ধ হয়। তারা বর্তমানে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ৪৮ ঘণ্টায় শীতজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তসহ আগুনজনিত দূর্ঘটনায় শতাধিক লোক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আড়াইশ শয্যার হাসপাতালটিতে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে তাদের অনেককেই ঠাঁই দিতে হয়েছে ওয়ার্ডগুলোর মেঝেতে। এ ছাড়া প্রতিদিন বহির্বিভাগে কয়েকশ রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে ভিড় করছে। শীতের প্রকোপ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় ঠান্ডাজনিত এসব রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। এদিকে এলাকার খেটে খাওয়া দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষও পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। একে তো শীতের প্রকোপ, অন্যদিকে ঠিকমতো শ্রমবিক্রি করতে না পারায় আয়-রোজগার কমে গেছে। ফলে তাদের পড়তে হচ্ছে আর্থিক সংকটে। অন্যদিকে প্রয়োজনীয় শীতের কাপড় না থাকায় হাড়কাঁপানো শীতে নিদারুণ কষ্টে সময় কাটছে শীতার্তদের।


     এই বিভাগের আরো খবর