,

বাহুবলে প্রেমের টানে ৫ মাসের শিশুকে রেখে পালিয়ে গেছে মা

জুয়েল চৌধুরী ॥ ৫ মাসের দুধের শিশুকে রেখে পরকীয়া প্রেমের সাথে পালিয়েছে গর্ভধারিনী মা। বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। গতকাল বুধবার ভোরে কোন এক সময় ওই গ্রামের মৃত জাহির উদ্দিনের কন্যা আছিয়া খাতুন তার পরকিয়া প্রেমিকের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ৬ বছর আগে বাহুবল উপজেলা শেওড়াতুলী গ্রামের মৃত জাহির মিয়ার পুত্র শ্যামল ওরফে সৈকতের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় পার্শ্ববর্তী হাসনাবাদ গ্রামের মৃত আকল মিয়ার কন্যা আছিয়া খাতুনের। বিয়ের পর থেকে প্রথম ৫/৬ মাস তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেই কাটে। পরবর্তীতে কিছুদিন যেতে না যেতেই সৈকত জানতে পারে তার স্ত্রীর সাথে ভগ্নিপতির পরকিয়া প্রেমে আসক্ত রয়েছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রতিনিয়তই ঝগড়া বিবাধ সৃষ্টি হত। এক পর্যায়ে আছিয়া খাতুন তার ভগ্নিপতি স্বস্থিপুর গ্রামের আব্দুল কাদিরের হাত ধরে পালিয়ে যায়। সেখানে ৩ বছর ঘর সংসারের পর আবারও সে আগের স্বামী সৈকতের ঘরে চলে আসে। তারা আবারও নতুন জীবন শুরু করে। এরই মধ্যে তাদের কোলজুড়ে জন্ম হয় সুমাইয়া আক্তার নামের এক কন্যা শিশুর। বর্তমানে যার বয়স ৫ মাস। শিশুটি জন্ম নেয়ার পর থেকে তাদের সংসারে অভাব-অনটন দেখা দিতে শুরু করে। ২ মাস আগে আছিয়ার স্বামী মাদকাসক্ত সৈকত নিরুদ্দেশ হয়। স্বামী নিরুদ্দেশ হওয়ার পর থেকে আছিয়া খাতুন আবারও নতুন প্রেমে জড়িয়ে পরে এবং বুধবার ভোর ৫টায় ৫ মাসের শিশু সন্তানকে রেখে অজানার উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায় পরকিয়া প্রেমিকের সাথে। এ খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীর মন্তব্য পালিয়ে যাওয়া আছিয়া খাতুন কি আবারও ভগ্নিপতি আব্দুল কাদিরের সাথে পালিয়েছে, নাকি অন্য কোন প্রেমিকের সাথে জুটি বেধেছে? এ নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। এদিকে শিশু সুমাইয়ার নানী আজবজান বিবি বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শিশুটিকে বাচাঁতে ও আইনী প্রক্রিয়া নিতে বাহুবল মডেল থানার ওসি’র কাছে হাজির হন। বাহুবল মডেল থানার ওসি নিজের সামাজিক মাধ্যম (ফেইসবুকে) বার্তার মাধ্যমে লিখেন “হায়রে মা পাঁচ মাস বয়সী অসুস্থ্য সুমাইয়া আক্তারকে আজ ০১/০২/২০১৭ তারিখ ফজরের নামাজের সময় তার মা আছিয়া খাতুন মাতৃগৃহে ফেলে অজানার উদ্দেশ্যে পলায়ন করেছে” সুমাইয়ার নানী বেলা সোয়া বারোটার সময় আমার কক্ষে হাজির। অসুস্থ্য বাচ্চাটিকে দেখে তাৎক্ষনিক বাহুবল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলাম। থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও অন্যান্য ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ড বয় মনির সকলের আন্তরিকতায় শিশুটির চিকিৎসা চলে”। শিশুটি গত চারদিন যাবৎ ডায়রিয়ায় ভুগছে। শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিয়েছিল। মাথায় গর্তের মতো দেখা যাচ্ছে। চোখ স্থির হয়ে আছে। মেয়েটির বাবা শ্যামল সৈকতকে ফোন দিলাম। সে মাদকাসক্ত। সুমাইয়া কে তা সে জানে না। এমন উত্তর পেয়ে হতবাক হয়ে পড়লাম সবাই অসুস্থ সুমাইয়ার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান।


     এই বিভাগের আরো খবর