,

শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের মাঝে বিরাজ করছে আনন্দের বন্যা- নবীগঞ্জে দীর্ঘ ৪৬ বছর পর অবশেষে চলাচলের সুবিধা পেল হালিতলা বারৈইকান্দি গ্রামের শতাধিক পরিবার

আনোয়ার হোসেন মিঠু/মোঃ আবু তালেব ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের হালিতলা বারৈইকান্দি গ্রামের মধ্য পাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবারের লোকজন সুদীর্ঘ ৪৬ বছর পর অবশেষে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের সংসদ সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার সচেতন লোকজনের সহযোগিতার কারণে চলাচলের সুবিধা পেল। চলাচলের এ সুযোগ পেয়ে গ্রামের শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলের মাঝে বিরাজ করছে আনন্দের বন্যা। জানাযায়, দেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে উপজেলার উল্লেখিত গ্রামের মধ্য পাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার তাদের পরিজন নিয়ে নিজ নিজ বাড়ি হতে হালিতলার প্রধান সড়কে আসতে পারতেন না। তাদেরকে চলাচল করতে হতো অন্য মানুষের বাড়ির উপর দিয়ে। খোঁজ নিয়ে যানাযায়, ইতিপূর্বে হালিতলা প্রধান সড়ক হতে সরকারী খাস খতিয়ানের ১৩১৬ নং দাগের উপর দিয়ে উল্লেখিত মধ্য পাড়ার লোকজন চলাচল করতেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের মৃত মনাই উল্লাহর পুত্র নানু মিয়া, নুনু মিয়া ও আজিম উদ্দিন, ফুলেছা বেগম গংরা উক্ত সরকারী জায়গা জোরপূর্বক দখল করে সেখান থেকে মাটি কেটে তাদেরকে চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি করে আসছিলো। নুনু মিয়া গংরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে মধ্য পাড়ার লোকজন গ্রামের মুরব্বীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোন ফল না পেয়ে অবশেষে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মুনিম চৌধুরী বাবুর স্বরনাপন্ন হলে তিনি বিষয়টির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সহকারী কমিশনার(ভূমি)কে সুপারিশ করেন। এর প্রেেিত নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজু আহমদ চৌধুরী জন স্বার্থে তিন শত লোকের চলাচলের জন্য গত ১৬ জানুয়ারী রাস্তা/সড়ক নির্মানের অনুমতি পত্র প্রদান করেন। অনুমতি পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, সরকারী খাস খতিয়ানের ১৩১৬ নং দাগের ভূমির উপর দিয়া ১২ ফুট প্রস্ত ও ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য রাস্তা দিয়ে স্বরনাতীতকাল হইতে রাস্তা হিসেবে পরস্পরায় ব্যবহার করে আসছেন মধ্য পাড়ার লোকজন। এছাড়া নুনু মিয়া একটি অঙ্গীকারনামা দিয়ে স্বীকার করেছেন য়ে উল্লেখিত জায়গা দিয়ে রাস্তা তৈরী করতে তার কোন আপত্তি নেই। এর পর মধ্যপাড়ার লোকজন তাদের নিজস্ব অর্থায়নে গত কয়েকদিনে সড়কটি নির্মান করেন। ফলে দীর্ঘ ৪৬ বছরের ধরে কষ্ট করে চলাচলের অবসান হল তাদের। সড়কটি নির্মাণের ফলে মধ্য পাড়ার লোকজনের পাশাপাশি সেখানকার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় যাতায়তকারী ছাত্র/ছাত্রীদের সুবিধা হলো। চলাচলের এ সুযোগ পেয়ে গ্রামের শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলের মাঝে বিরাজ করছে আনন্দের বন্যা।


     এই বিভাগের আরো খবর