,

বৃহত্তর সিলেটের খ্যাতিমান রাজনীতিকদের উত্তরসূরি কারা?

রিপন দেব ॥ ওয়ান ইলেভেনের দুই বছর বাদে ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত টানা ২৬ বছর অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সিলেট অঞ্চলের রাজনীতিকরা। স্বাধীনতার পর থেকে মোট দশটি সংসদে সেরা পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে যাকে এক নম্বর হিসেবে রাজনৈতিক মহল বিবেচনা করেন তিনি হলেন সদ্য প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তাঁর জন্ম সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায়। তাঁর মৃত্যুর পর বিভিন্ন মহলে আলোচনা উঠেছে, সিলেট অঞ্চলের খ্যাতিমানদের উত্তরসূরি কারা? মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার সর্বাধিনায়ক ছিলেন এম এ জি ওসমানী। প্রয়াত এই বীর যোদ্ধা ছিলেন সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার বাসিন্দা। বাংলাদেশের প্রথম সরকার যেটি মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার হিসেবে পরিচিত তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন প্রয়াত আব্দুস সামাদ আজাদ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং তার কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন সামাদ আজাদ। আন্তর্জাতিক অঙ্গণে সুপরিচিত খ্যাতিমান কূটনীতিক প্রয়াত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী জাতীয় সংসদের স্পিকার ছিলেন। দশম ও নবম সংসদে গঠিত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি সিলেট সদর আসন থেকে নির্বাচিত এমপি। এইচ এম এরশাদ সরকার আমলেও তিনি কিছুদিন অর্থমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯১ এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়া বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন প্রয়াত এম সাইফুর রহমান। আন্তর্জাতিক অঙ্গণে আরেক খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব শাহ এ এস এম কিবরিয়া ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত সময়ে শেখ হাসিনার সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে সন্ত্রাসীদের গ্রেনেড হামলায় মারা যান তিনি। হবিগঞ্জ সদর-লাখাই আসনের এমপি ছিলেন তিনি। তাঁর বাড়ী নবীগঞ্জ উপজেলার জালালসাফ গ্রামে। তার পুত্র ড. রেজা কিবরিয়া বিশিষ্ঠ অর্থনিথীবিদ হওয়া স্বত্তেও পিতার মৃত্যুর পর তিনি আওয়ামী রাজনীতিতে যুক্ত হননি। চারদলীয় জোট সরকার আমলে শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ড, ওসমান ফারুক। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন পরপর দুই মেয়াদেই শিক্ষমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। বর্তমান অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের বাড়িও সুনামগঞ্জে। প্রয়াত সামাদ আজাদ, হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী, কিবরিয়া এবং সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সন্তানরা কেউ আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে নেই। সাইফুর রহমানের ছেলে নাসের রহমান বাবার ছেড়ে দেওয়া আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে বিএনপি রাজনীতিতে তিনি তেমন সক্রিয় নয়। প্রয়াত নেতাদের সন্তানরা ছাড়াও সিলেট অঞ্চল থেকে আগামীতে কে হতে পারেন আওয়ামীলীগ কিংবা বিএনপির অর্থমন্ত্রী তা নিয়ে আলোচনায় নেই কেউ। আন্তর্জাতিক অঙ্গণে তুলে ধরার মতো দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কিংবা সামাজিক অঙ্গণে সিলেট অঞ্চলের কেউ এখনও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি।


     এই বিভাগের আরো খবর