,

বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্রের শ্রমিকদের নিয়ে প্রতারণা! ১১ দফা দাবীর মানববন্ধন নিয়ে ধূম্রজাল মানববন্ধনে অংশ গ্রহনকারীরা আসলে কারা?

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার কসবা, করিমপুর, আউশকান্দিতে গ্যাস ক্ষেত্র ও পারকুলে অবস্থিত বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্ট। এসব প্রতিষ্ঠান দেশ ও দেশের বর্তমান সরকারের স্বার্থে ইনাতগঞ্জ ও আউশকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের লোকজনের নিজস্ব জায়গা জমিতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ পাওয়ায় ন্যায্য মূল্য না পেলেও সরকার বিভিন্ন কলাকৌশল অবলম্বন করে তাদের কাছ থেকে তা নিয়ে গেছে! অভিযোগ ভূমি দাতাদের। এসব গ্যাস দেশ থেকে দেশান্তর সহ সারাদেশে আমদানী-রপ্তানি হচ্ছে। এমন কি জমির মালিক, এলাকাবাসী ও স্থানীয় অনেক সামাজিক সংগঠন দফায় দফায় যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরী নিয়ে বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণ অবরোধ, মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছিল। মামা-ভাগিনার সর্ম্পক যাদের গভীর ছিল শুধু মাত্র তারাই পেয়েছেন মাত্রাতিরিক্ত অধিকার! আবার তা থেকে অনেকেই রয়েছেন বঞ্চিত। এ সুযোগে শেভরন বাংলাদেশ ও বিদ্যুৎ প্লান্টে কোম্পানীর কাজে স্থাানীয় বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ নিয়েছে। এতে মফস্বল ও গ্রামের হাজারো সহজ সরল মনা ও হত দরিদ্র নারী-পুরুষ উক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রমিকের কাজ দিন রাত পেটের তাগিতে কাজ করে আসছিল। কিন্তু তাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে নামে মাত্র কিছু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে তাদের দ্বারা কাজ করিয়ে লক্ষ্য কোটি টাকা বকেয়া বেতন আটক রেখে! ঐ শ্রমিকগুলো কারো কাছে বিচার চেয়েও কাজের কাজ কিছুই না হওয়াতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে মানববন্ধন করেন যাহাতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি ও বকেয়া বেতন পাওয়া যায়। কিন্তু একের পর এক সরলতার সুযোগ নিয়ে এলাকার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে ঐ সব কোম্পানী গুলোর এক শ্রেণীর অসাধু ঠিকাদারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীদের গেরাকলে সাধারণ পরিবারের মানুষগুলোর জীবন আজ বিপন্ন হচ্ছে! এসব দেখার যেন কেউ নাই! নিজের স্বার্থ হাসিলে এক শ্রেনীর মানুষ নিরিহ লোকজনদের এক প্রকার পথেই নামিয়ে দিয়েছে! এ সব ভূক্তভোগী খেটে খাওয়া শ্রমিকের বার্ষিক বকেয়া ৫% মুনাফা আদায় সহ ১১ দফার দাবীতে শান্তিপূর্নভাবে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে নবীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের কর্মরত শেভরন বাংলাদেশের বিবিয়ানা নিরাপত্তা কর্মচারীরা তারা গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের করিমপুরস্থ সাউথ প্যাডের প্রবেশ মুখে তাদের মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে প্রায় ১ ঘন্টা। এ সময় মানববন্ধনে আন্দোলনমূখী শ্রমিকরা ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন। তাদের দাবী ঐ সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে পরবর্তীতে তারা কঠোর কর্মসূচির ডাক দিবেন বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে। মানববন্ধন কর্মসুচিতে আন্দোলনকারীরা- বার্ষিক বকেয়া ৫% মুনাফা আদায়, চাকুরী জাতীয়করণ, প্রতি বছর বার্ষিক বেতন বৃদ্ধিকরণ, শ্রমিক কল্যাণ তহবিল সংযুক্ত করণ, জ্বালানী খনিজ ক্ষেতে শ্রমিক কর্মচারীদের ঝুঁকি ভাতা সংযুক্তকরণ, শ্রমিক কর্মচারীদের বাসস্থান, যোগাযোগ ভাতা সংযুক্তকরণ, কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য নীতি দূরিকরণ, অনাদায়ী ছুটি নগদিকরণ, সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন ধার্যকরণ, প্রত্যেক শ্রমিক কর্মচারীদের বীমা/চিকিৎসা/জীবন/ঝুঁকি বেতন বৈষম্য দূরীকরণসহ ইত্যাদি ১১টি দাবী জানায় তারা। উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচি সকাল ১১ঘটিকার সময় রোপন তালুকদার সাগরের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, শামছুল হক, আছকর আলী আনোয়ার হোসেন, স্বাধীন, সন্তোষ, শিপন আহমেদ, রিয়াজ উদ্দিন, বাহার, রিপন দেব, কাজী এবাদুর রশীদ, নূর নবী, জাহেদুল ইসলাম, তফুর মিয়া, ঝন্টু চরন, জাকারিয়া আলম, অজয়, পাপলু, ফয়জুল হক প্রমুখ। মানববন্ধনে আন্দোলনকারীরা তাদের দাবী বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ ব্যাপারে শেভরন বাংলাদেশ মিডিয়া কমিউনিকেশন এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, যারা আন্দোলন করছে, তারা কেউই শেভরনের লোক না! তারা বিভিন্ন ঠিকাদারের মাধ্যমে ৩য় পক্ষ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে! কিন্তু শেভরন বাংলাদেশের ব্যানার ও লগু সম্বলিত অনেক শ্রমিকদের গলায় ও হাতে শেভরনের আইডি কার্ড দেখা যায়! এখানে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তাহলে উক্ত মানববন্ধনে অংশ গ্রহনকারীরা কারা?


     এই বিভাগের আরো খবর