,

নবীগঞ্জবাসী আজও গ্যাসের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত

জসিম তালুকদার ॥ “দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম গ্যাস ক্ষেত্র বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড। বাংলাদেশের মোট চাহিদার বিপরীতে ৫৫ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ একাই বহন করে আসছে এই নবীগঞ্জের বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্র। অথচ উপজেলা বাসী গ্যাস ও বিদ্যুৎ এর ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তাদের কপালে জোটেনি কাংকিত গ্যাস ও বিদ্যুৎ। ২০১০/১১ সালে আন্দোলন করা হয় আউশকান্দি স্কয়ারে। হাজারো মানুষ গ্যাস ও বিদ্যুতের পাওয়ার আশায় রাস্তঘাট বন্ধ করে দেন। অচল হয়ে যায় মহাসড়ক শতশত যান চলাচল। টনক নড়ে প্রশাসনের। জেলা প্রশাসকসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ছুটে যান আন্দোলনস্থলে। উপচে পড়া মানুষদের সামাল দেন। গ্যাস প্রদানের আশ্বাস দেয়া হলে সাধারন মানুষ মেনেও নেন অথচ আজও তাদের কপালে জোটেনি সেই গ্যাস ও বিদ্যুৎ। ২০১১ইং সালের আগষ্ট মাসে ড্রয়িং করা হয়। ৯টি ওয়ার্ডের পাইপ লাইন স্থাপন করে পেট্রো-বাংলার প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ গ্যাস। নবীগঞ্জ পৌর শহরে আবেদন জমা পরে ৫/৬ হাজার। প্রায় ১২০০/১৪০০ আবাসিক ও প্রায় ১৫টি বানিজ্যিক গ্যাস লাইনের সংযোগ দেয়া হয়েছে ইতিমধ্যে। বর্তমান সরকার গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে সারাদেশ জুড়ে। দেশ-বিদেশে হাজার হাজার মানুষ নবীগঞ্জের প্রতিটি ঘরে ঘরে গ্যাস পৌছে দেয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা তুলে আন্দোলন জোরদার করেছিলেন আন্দোলনকারীরা কিন্তু তাদের সেই আন্দোলন আজ ব্যর্ত হতে চলেছে। নবীগঞ্জের সচেতন মহলে আলোচনা চলছে ২০১৯ সালের আগে নবীগঞ্জ বাসী নাকি ন্যায্য অধিকার পাবে না। নবীগঞ্জ পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডে অবস্থিত জামেয়া ইসলামিয়া মাদানিয়া গন্ধা মিল্লিক মাদ্রাসার গ্যাস সংযোগের টাকা নেয়ার পরও তারা গ্যাস পাচেছন না। উল্লেখ্য, গ্যাস সংযোগ বন্ধ হওয়ার পুর্বে সংযোগের টাকা নেয়া হয়েছিল। উক্ত মাদ্রাসা মুহতামিম মাওলানা আঃ বাছির এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ধরনের আরও অনেক সংযোগের অগ্রিম টাকা নেয়ার পর ও নবীগঞ্জবাসী গ্যাস সংযোগ পাচ্ছে না।


     এই বিভাগের আরো খবর