,

নবীগঞ্জের পিপাসা চটপটি বিক্রি করে চালায় ৬ জনের সংসার

জসিম তালুকদার ॥ পিপাসা রাণী দাশ। বয়স ১৩ বছর। তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। যে বয়সে তার স্কুলে যাবার কথা সে বয়সে সে এখন হাল ধরেছে ৬ জনের সংসারের। বাবার অসুস্থতার কারণে অন্য কোন উপায় না থাকায় একান্ত বাধ্য হয়েই লেখা পড়া ছেড়ে তাকে হাল ধরতে হয়েছে সংসারের। জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ গ্রামের ধনু দাশ বর্তমানে পৌর এলাকার গয়াহরি গ্রামের বাসিন্দা। নবীগঞ্জ এসে শুরু করেন চটপটির ব্যবসা। ব্যবসার প্রয়োজনে মাঝে মধ্যে পিপাসা তার বাবার সাথে সময় দিত। এভাবে সময় দিতে দিতে ব্যবসার অনেক বিষয় তার রপ্ত হয়ে যায়। পিপাসা নিজেও জানত না যে একদিন তার বাবার ব্যবসার হাল ধরতে হবে। প্রায় ৩ বছর পূর্বে পিপাসার বাবা ধনু দাশের সাথে ঝগড়া হয় প্রতিবেশী সুর্যমনির সাথে। ঝগড়ায় ধনুর কোমড়ে মারাত্বক আঘাতের কারণে বর্তমানে বাড়িতে বসে বসেই দিন কাটে তার। বাবার অসুস্থতার কারনে ৬ জনের সংসারের হাল ধরেছে পিপাসা। প্রতিদিন চটপটি বিক্রি হয় ৫/৬ শত টাকা আয় হয়। এর মধ্যে অর্ধেক টাকা চলে যায় দোকোনের কাঁচামাল ক্রয় করতে গিয়ে। এই সামন্য টাকা দিয়ে তাদের সংসার চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে শীতের দিনে তাদের আয় কিছু বেশী হয়। নবীগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় ওয়াজ মাহফিল, মেলা, ওরসসহ বিভিন্ন ধরনের মেলায় চটপটি নিয়ে গেলে আয় একটু বেশী হয়। তখন তাদের সংসার ভাল চলে। মাথায় ক্যাপ, পরনে প্যান্ট আর গায়ে শার্ট পড়ে ছেলেদের মতো থাকতে ভালবাসে পিপাসা। এর কারন জিজ্ঞাসা করলে পিপাসা জানায় আমি পুরুষের মতো থাকি কারণ আমি সংসার চালাই। অন্য উপজেলার বাসিন্দা হয়ে নবীগঞ্জে কেন এ প্রশ্নের জবাবে পিপাসা জানায় নদী ভাঙ্গনে তাদের বাড়িঘর সব শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা নবীগঞ্জে চলে আসে।


     এই বিভাগের আরো খবর