,

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আজিম উল্লাহ ও উজ্জত উল্লাহ’র স্বরণে স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার দিনারপুরের পাহাড় বেষ্টিত টেকইয়া গ্রামের আজিম উল্লাহ ও একই উপজেলার মুড়াউড়া গ্রামের বাসিন্দা উজ্জত উল্লাহ। মহান মুক্তিযুদ্ধে তারা দুইজন পাক সেনাদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন। এ বিষয়টি জেনে এমপি কেয়া চৌধুরী দুই শহীদের বাড়ি গিয়ে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের ঘোষণা দেন। তিনি বরাদ্দ দেন। বরাদ্দ সাপেক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আজিম উল্লার বাড়ির সামনে স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ হয়। মুক্তিযোদ্ধাসহ তৃণমূল লোকজনকে সাথে নিয়ে মহান স্বাধীনতার মাসে এমপি কেয়া চৌধুরী এ স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করেন। পরে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমানের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় বক্তব্যে স্মৃতিচারণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান আব্দুল ওয়াহাব চৌধুরী বলেন, যুদ্ধ শুরু হলে ভারত গিয়ে প্রশিক্ষণ নেই। সেখান থেকে এলাকায় এসে টেকইয়ার আজিম উল্লাহ’র বাড়িতে আসি। এখানে ক্যাম্প তৈরী করি। পাক সেনারা আমাকে ধরার জন্য অনেক চেষ্টা চালায়। আমাকে না পেয়ে আজিম উল্লাহকে তারা ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যাচার শুরু করে। তারপরও পাক সেনাদের কাছে তিনি আমার সন্ধান দেননি। এক সময় আজিম উল্লাহকে পাক সেনারা হত্যা করে। তিনি বলেন, মুড়াউড়া গ্রামের বাসিন্দা উজ্জত উল্লাহ’র বাড়িতে গর্ত করে অস্ত্র রেখেছিলাম। এ সংবাদ পেয়ে পাক সেনারা সেখানে গিয়ে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে ফেলে। অস্ত্র রাখার স্থান দেয়ার অপরাধে পাক সেনারা ইজ্জত উল্লাহকে ধরে নিয়ে যায়। তার লাশ পাওয়া যায়নি। আমার কারণে তারা নির্মমভাবে মারা গেছেন। তাদের ঋণ শোধ হবার নয়। তিনি বলেন, এমপি কেয়া চৌধুরীর শরীরে বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরীর রক্ত রয়েছে। তাই এমপি কেয়া চৌধুরী খুঁজে বের করে স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর হলেও দুই শহীদের স্বরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে প্রশংসার দাবীদার হলেন। সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এমপি কেয়া চৌধুরী বলেন, এ দুই বীর শহীদের ঋণ পরিশোধ হবার নয়। তাদের স্বরণে আজ স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করলাম। এলাকার একটি রাস্তা নাম করার চেষ্টা করা হবে। আগামী ডিসেম্বর মাসের ভেতরে পানিউমদা বাজার এলাকায় দুই মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ধরে রাখতে “স্মৃতিস্তম্ভ” নির্মাণে বরাদ্দ দেব। শহীদ পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ চেষ্টা কবর। বিদ্যুতের ব্যবস্থা হবে। সভায় বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মাহমুদুর রহমান, মুরুব্বী চান মিয়া, আলাউদ্দিন মিয়া, উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ নিজামুল হক চৌধুরী প্রমুখ। এ সভায় দুই শহীদের স্ত্রী, সন্তান, আওয়ামী পরিবারের নেতাকর্মী ও শত শত গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।


     এই বিভাগের আরো খবর