,

বানিয়াচং থানায় ফাইল বন্দি মামলা : ৪৮ দিনেও গ্রেফতার হয়নি আসামী

বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥ বানিয়াচং উপজেলার সাখাইতি গ্রামে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১ মাস ১৮ দিন পার হয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে আসামীদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। এ ঘটনায় মরহুম মুক্তিযোদ্ধা আজমান চৌধুরী লুদু মিয়ার ছোট ভাই মৃত ছুরুক মিয়া চৌধুরীর পুত্র মুবিন চৌধুরী একই গ্রামের মৃত মঞ্জিল মিয়ার পুত্র সাইদুর রহমান (৩২), অলি মিয়া (৩৮) ও রাহি মিয়া পাঘাসহ ৭ জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেন। ৩১ জানুয়ারি বানিয়াচং থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ অমূল্য কুমার চৌধুরী অভিযোগটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেন মার্কুলি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিরুল ইসলামকে। তিনি সরেজমিনে ঘটনাস্থলে যান এবং মামলার সাক্ষীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তিনি প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দিলে মামলা রুজু করেন তৎকালীন ওসি। কিন্তু এসআই মোস্তাক মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর থেকে অদ্যাবদি প্রতিবেদন দাখিলতো দুরের কথা ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেননি। ফলে মামলাটির কোন অগ্রগতি হচ্ছে না। ইতোমধ্যে বাদির পক্ষ থেকে একাধিকবার তার সাথে যোগাযোগ করেও কোন কাজ হচ্ছে না। মামলাটি ফাইল চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে আসামীরা দাপটের সাথে প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে। বাদির অভিযোগ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোস্তাকের সাথে যতবারই তারা যোগাযোগ করেছেন, ততবারই তিনি বলেছেন,‘আসামীদের না ধরতে উপর মহলের নির্দেশ রয়েছে’। এহেন অবস্থায় বাদি ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন। সেই সাথে এই ‘উপর মহল’ টি কে বা কোন অধিদপ্তর তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে বাদি ও তার পরিবারের লোকজনের মাঝে। উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি গভীর রাতে মুবিন চৌধুরী ও তার পরিবার ঘুমিয়ে পড়লে একই গ্রামের সাইদুর রহমান ও তার ভাই অলি মিয়া ও রাহি মিয়াসহ একদল দুর্বৃত্ত তার বসতঘরে আগুন দেয়। মুর্হুতের মধ্যেই ঘরটি ভষ্মিভূত হয়ে যায়। এ ঘটনায় মুবিন চৌধুরী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামীরা বাদি ও সাক্ষীদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করছে। এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় অপ্রীতিঘর ঘটনার আশংকা করা হচ্ছে।


     এই বিভাগের আরো খবর