,

সাংবাদিক মুরাদ এর উপর হামলার ঘটনা শালিসে নিস্পত্তি : নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের কমিটি গঠনে ৫ সদস্যের কমিশন গঠন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে গত ২৭ ফেব্র“য়ারী প্রেসক্লাব নিয়ে বিরোধ ও সংবাদ প্রকাশের জের ধরে হামলার ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরীর সাথে দৈনিক সময় পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি (একাংশ) মুরাদ আহমদের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ সালিশে নিস্পত্তি হয়েছে। গতকাল দুপুরে শহরের জেকে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ঐতিহাসিক সালিশ বৈঠকে বিদ্যমান বিরোধের নিস্পত্তি হয়। সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরীর পক্ষে হামলাকারী ৫ জন জনসম্মুখে সাংবাদিক মুরাদ আহমদ এর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এবং সাইফুল জাহান চৌধুরী ও মুরাদ আহমদ এর মধ্যে বুক মিলিয়ে ঘটনার নিস্পত্তি হয়েছে। এছাড়াও প্রেসক্লাব নিয়ে বিভক্ত তিন গ্র“পের সমন্বয়ে আগামী জুলাই মাসের মধ্যে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে কাউন্সিলের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা দেয়া হয়। কমিশনার মনোনীত হয়েছেন, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা রফিক, সদস্যরা হলেন, সংসদ সদস্য এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজিনা সারোয়ার এবং হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও চ্যানেল আই ও দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের হবিগঞ্জ জেলা চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ। আয়োজিত সালিশে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু এমপি। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. আলমগীর চৌধুরীর সঞ্চালনায় সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি ও দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচার পত্রিকার সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তাফা রফিক, সাধারন সম্পাদক ও চ্যানেল আই ও দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ, সাবেক চেয়ারম্যান আ.ক.ম.ফখরুল ইসলাম কালাম, বালাগঞ্জ উপজেলার পৈলনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খালেদ আহমদ, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রউপ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল, বিশিষ্ঠ মুরুব্বি সামছুল আলম কনা মাষ্টার, সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান পিয়ারা, সাবেক বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান আঃ হাই, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বাউশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ও যুবলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, সময় পত্রিকার সম্পাদক ও কাউন্সিলর মোঃ আলাউদ্দিন, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য এড. সুলতান মাহমুদ, মোঃ আব্দুল মালিক, উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ডা: শাহ আবুল খায়ের, আউশকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ দিলাওর হোসেন, দেবপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট মাসুম আহমদ জাবেদ আলী, ২নং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আশিক মিয়া, কুর্শি ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুসা, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হারুন মিয়া, নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাবেদুল আলম চৌধুরী সাজু, নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আব্দুল গফুর, সাবেক সভাপতি সুখেন্দু রায় বাবুল, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিলু, শাহ রিজভী আহমদ খালেদ, দৈনিক মানবজমিন ষ্টাফ রিপোর্টার এম এ বাছিত, কাউন্সিলর এটিএম সালাম, কাউন্সিলর জাকির হোসেন, জাপা নেতা ইলিয়াছ মিয়া, হাজ্বী সিরাজ মিয়া, আব্দুল হান্নান চৌধুরী চাঁন মিয়া, ইয়াওর মিয়া তালুকদার, পল্লী বিদ্যুতের পরিচালক শফিকুর রহমান শফিক ও শফিউল আলম হেলাল, সাবেক পরিচালক এড. ফারুক পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজমুল হোসেন, আহমদ আউশকান্দি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মুর্শেদ আহমদ, সাবেক উপজেলা যুবদলের সভাপতি নুরুল গনি চৌধুরী সোহেল, এম.এ মজিদ, সাবেক কাউন্সিলর যুবরাজ গোপ, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি শেখ শাহনুর আলম সানু, নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি মাওঃ শুয়েব আহমদ, আউশকান্দি কলেজের দাতা সদস্য শাহ মুস্তাকিন আলী পিন্স, আউশকান্দি ইউপি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি মেম্বার সুজন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান নোমান, আব্দুল জব্বার, আঃ জলিল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রাব্বি আহমদ চৌধুরী মাক্কু, লোকমান আহমদ খান, সাবেক ছাত্রদল নেতা তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান জুয়েল ও মোশাহিদ আলম মুরাদ, উপজেলা যুব সংহতির যুগ্ম আহবায়ক আক্কাছ মিয়া চৌধুরী ও আহমদ রেজা, পৌর যুব সংহতির আহবায়ক নিউটন সুত্রধর ও সদস্য সচিব শেখ সুহেল আহমেদসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিপুল সংখ্যক লোকজন সালিশ বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন। সালিশ বৈঠকের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত উভয়পক্ষ মেনে নেয়ায় বিদ্যমান উত্তেজনার অবসান ঘটে। সভাপতির দেয়া বক্তব্যে মুনিম চৌধুরী বাবু এমপি সিদ্ধান্ত ঘোষণা ছাড়াও ভবিষ্যতে একই রকম অপরাধ সংগঠিত হলে লিখিত মুচলেখায় সালিশের ঘোষনা দেওয়া হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর