,

ইউপি চেয়ারম্যানদের ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ও নিন্দার নামে নবীগঞ্জের হলুদ সাংবাদিক আজাদের মিথ্যাচার প্রসঙ্গে সময় কর্তৃপক্ষের ব্যখ্যা

গতকাল ২২ মার্চ বুধবার নবীগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকার ১ম পাতায় “নবীগঞ্জে আইন শৃংখলা কমিটি এবং উন্নয়ন সমন্বয় কমিঠির সভা বিভ্রান্তিকর মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও পরিবেশনের জন্য চেয়ারম্যানদের ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ও নিন্দা” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি পড়ে দৈনিক হবিগঞ্জ সময় কর্তৃপক্ষের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এরকম হলুদ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন। এক জন স্টাফ রিপোর্টারের সংবাদটি বিবিয়ানা পত্রিকার কর্তৃপক্ষ যে ভাবে ছাপিয়েছেন তা দেখেই বুঝা যায় তারা কি ধরনের সাংবাদিকতা করেন। কারণ সংবাদ আর প্রতিবাদ বুঝার যাদের ক্ষমতা নেই তাদের সাংবাদিকতার কি ধরনের জ্ঞান রয়েছে! এছাড়া তাদের কাছ থেকে এর বেশী আর কি আশা করা যায়। ২১ মার্চ প্রকাশিত দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকার প্রকাশিত সংবাদে কোথাও আজাদকে নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিসে ইউপি চেয়ারম্যানদের কথা হয়েছে এ রকম লেখা হয়নি। সংবাদে লেখা হয়েছে নবীগঞ্জ উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের বিদ্যমান তিনটি গ্র“পের একটিকে অনৈতিক ভাবে আমন্ত্রনের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সোমবার উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় প্রেস ক্লাবের এক গ্র“পের সভাপতি নবীগঞ্জ পৌর যুবলীগ থেকে বহিস্কৃত আহমদ আজাদকে আমন্ত্রন জানানোর খবর পেয়ে অপর দুই গ্র“পের নেতা নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের (একাংশ) সভাপতি মুরাদ আহমদ এবং অপর অংশের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া সভাস্থলে উপস্থিত হন এবং ঐক্য প্রক্রিয়ার নির্বাচন ছাড়া কাউকে আমন্ত্রন না জানানোর সিদ্ধান্ত রহিত করার কারণ জানতে চান দুই সাংবাদিক নেতা। এছাড়া ১৮ মার্চের জে কে হাই স্কুলের সালিশ বেঠক ও ইউপি চেয়ারম্যানদের আইন শৃংখলা ও মাসিক সমন্বয় সভা বয়কটের ব্যাপারে বিস্তারিত লেখা হয়। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানাযায় উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যানগণ বিবিয়ানা পত্রিকায় কোন প্রতিবাদ দেননি। তাদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, আজাদ তাদেরকে ফোন করে তার সর্ম্পকে কোন কথা হয়েছে কি না জানতে চায় এর উত্তরে তারা জানান আমরা যেহেতু কোন সভায়ই যাইনি তাহলে তোমার সর্ম্পকে কথা হবে কিভাবে। এছাড়া এ বিষয়ে হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক বিজয়ের প্রতিধবনি ও হবিগঞ্জ সমাচারসহ আরো অনেক পত্রিকায় এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হলেও দৈনিক হবিগঞ্জ সময়ের উপর এত ক্ষোভ কেন তা আমাদের খুব ভাল করেই জানা আছে। কে চাঁদা বাজির মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে ছিল তাও আমাদের জানা আছে। কারা হলুদ সাংবাদিকতা করে তা সাংবাদিক সমাজসহ নবীগঞ্জবাসীর ভাল করেই জানা আছে। কারা সন্ত্রাসীদের লালন পালন করে এবং সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি করে সবকিছুই নবীগঞ্জবাসী ভাল করেই জানেন। দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতেই এধরনের মিথ্যাচার করেছে বলে আমাদের বিশ্বাস। এ সমস্ত মিথ্যাচার করে পাঠকের হৃদয় থেকে সময়ের নাম মুছা যাবে না। তাই আগামীতে না বুঝে দৈনিক হবিগঞ্জ সময় সর্ম্পকে কিছু না লেখার আহবান জানিয়ে বলতে চাই অযথা মিথ্যাচার না করে ন্যায় ও সত্যের পথে চলা শিখুন। অন্যথায় সবাই আপনাদের ক্ষমা করলেও ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না।


     এই বিভাগের আরো খবর