,

কাউন্সিলর জুনায়েদের ভাইকে লন্ডন নেওয়ার নামে প্রতারণা : ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় নবীগঞ্জের প্রতারক মজনু কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জুনায়েদ মিয়ার ছোট ভাই ফখরুল ইসলাম রকিকে লন্ডন নেওয়ার নাম করে ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় নবীগঞ্জের প্রতারক মজনু মিয়াকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গত সোমববার দুপুরে প্রতারক মজনু মিয়া আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করে। পরে আদালত শুনানী শেষে এবং সিআইডির দেওয়া তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হলে আদালত জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। প্রতারক মজনু নবীগঞ্জ উপজেলার গুলডুবা গ্রামের রিফাত উল্লাহর পুত্র। বর্তমানে সে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার (রিফাত মঞ্জিল) উসমানী রোড এ বসবাসরত। জানা যায়, হবিগঞ্জ পৌর সভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জুনায়েদ মিয়ার ছোট ভাই ফখরুল ইসলামকে লন্ডন নেওয়ার কথা বলে ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে মজনু মিয়া নামে ওই প্রতারক। পরে বার বার তার কাছে যাওয়া হলে লন্ডন নেওয়া’ত দুরের কথা তার কোন সু-উত্তরও পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় গত বছরের ১৫ জুলাই সদর থানায় কাউন্সিলর জুনায়েদ মিয়া বাদী হয়ে প্রতারক মজনু’র বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিতে প্রেরণ করা হয়। সিআইডি দীর্ঘ দিন তদন্তের পর গত ২৮ জানুয়ারী মজনু মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমান সাপেক্ষে কোর্টে চার্জশিট দাখিল করেন। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল মজনু মিয়া আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, প্রতারক মজনু মিয়া কাউন্সিলর জুনায়েদ মিয়ার উপর আক্রোষান্বিত হয়ে আদালতে চাঁদাবাজিসহ একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরে আদালত চাঁদাবাজির মামলাটি তদন্তের জন্য নবীগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। নবীগঞ্জ থানার তৎকালিন ওসি আব্দুল বাতেন দীর্ঘ তদন্তের পর মামলাটি উদ্দ্যেশ্য মুলক ও ভিত্তিহীন বলে আদালতে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর