,

২০১৮ সালের মধ্যে হবিগঞ্জ জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করা হবে -জেলা প্রশাসক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করণের কার্যক্রম গ্রহণ করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক দেশকে ভিক্ষুকমুক্তকরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ ও অনুবৃত্তিক্রমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে সরকারের বহুমুখী কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন, ডিজিটালাইজেশন উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে সরকার অর্থ বিনিয়োগ করছে। এ ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্যও অনেক। দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থান ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি সম্প্রসারণ হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীকে উদ্বুদ্ধকরণ, পুর্নবাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ভিক্ষুকমুক্তকরণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীকে উদ্বুদ্ধকরণ, প্রশিক্ষণ, বিকল্প কর্মসংস্থান ও পুর্নাবাসনের মাধ্যমে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে হবিগঞ্জ তথা বাংলাদেশকে ভিক্ষুকমুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে ভিক্ষুকদের তথ্য সংগ্রহ করে ডাটাবেজ তৈরী করা হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মোঃ শফিউল আলমের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ রুখন উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ, সিভিল সার্জন ডাঃ হিমাংশু লাল রায়, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) মোঃ নাজিম উদ্দিন, প্রেসক্লাব সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সমাচার পত্রিকার সম্পাদক গোলাম মোস্তফা রফিক, সাধারণ সম্পাদক, চ্যানেল আই ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম আজহারুল ইসলাম, নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জীতেন্দ্র কুমার নাথ, চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজাম মুনিরা, লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসাইন, বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ, জেলা সমাজসেবা উপ-পরিচালক হামদুল করিম, জেলা তথ্য কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন, অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন, রোটারী ক্লাব হবিগঞ্জ সভাপতি বাদল রায়, সেক্রেটারী মহসিন চৌধুরী প্রমূখ। এছাড়াও বিভিন্ন এনজিও, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে মার্চ মাসে উদ্বুদ্ধকরণ সভা, এপ্রিলে বিক্ষুকের পরিসংখ্যান সংগ্রহ, মে-তে কর্মসংস্থান প্রণয়ন, জুন ২০১৭ থেকে ডিসেম্বর ২০১৮ তে কর্মসূচী বাস্তবায়ন। ভিক্ষুকমুক্তকরণের কার্যক্রমে বিভিন্ন শ্রেণীর ভিক্ষুকদের সনাক্ত করে পেশাগত, বংশগত অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী, পাগল, প্রতারক, হিজরা সেজে, সিজনাল, প্রাকৃতিক দুর্যোগে, নদী ভাঙ্গনে, অস্বচ্ছল-বৃদ্ধ, ফাঁকিবাজ, কর্মবিমূখ, ভবঘুড়ে ব্যক্তিকে ভিক্ষুক সনাক্ত করা করা হবে। ভিক্ষুকগনকে ভিক্ষাবৃত্তি ত্যাগে উদ্বুদ্ধকরণ, প্রশিক্ষণ প্রদান করে কমংস্থান সৃষ্টি করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর