,

২১০০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ১১২০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে : বিশ্ববাসীর জন্য অপেক্ষা করছে অশনি সংকেত

সময় ডেস্ক ॥ ২১০০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা বেড়ে এক হাজার ১২০ কোটিতে দাড়াবে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে এমনটাই জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ পরিমাণ মানুষই যে বাড়বে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এটা শুধু অনুমান মাত্র। এর থেকে বেশি বাড়তে পারে। যে হারে দিন দিন জনসংখ্যা বাড়ছে তাতে ২১০০ সাল নাগাদ জনসংখ্য এক হাজার ৬৬০ কোটিতেও দাড়াতে পারে। এখনই বিশ্বের জনসংখ্যা সাড়ে ৭০০ কোটি। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০৫০ সাল নাগাদ বর্তমানে হারে জনসংখ্যার বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তবে যে হারে মানুষ বাড়বে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাসস্থান, চাকরি বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়বে না। ফলে বেকায়দায় পড়তে হবে বিশ্ববাসীকে। প্রতিদিন নতুন শিশু জন্ম নিচ্ছে বলেই যে জনসংখ্যা বাড়বে বিষয়টি এমন নয়। মৃত্যুহার কমে যাওয়া এবং গড় আয়ু বেড়ে যাওয়ার কারণে জনসংখ্যা বাড়ছে। ১৯৫০ সালের দিকে বিশ্বের অনেক মানুষই ৫০ বছর পর্যন্ত বাঁচতো না। বর্তমানে মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭২ বছরে দাড়িয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২১০০ সাল নাগাদ এ গড় আয়ু বেড়ে ৮৩ বছরে দাড়াবে। গড় আয় বাড়ায় প্রবীন জনসংখ্যা বৃদ্ধি। আর স্বল্প জন্মহারের কারণে তরুণ ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী দিন দিন কমে যাচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাসস্থানের সংকটও তৈরি হবে। অল্প জায়গায় মধ্যে বেশির মানুষকে থাকতে হবে। ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ৪১টি মেগাসিটির প্রত্যেকটিতে এক কোটিরও বেশি মানুষ বাস করবে। আর ২০৫০ সাল নাগাদ মোট জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ শহরে এলাকায় বাস করবে। এখন মুম্বাইয়ে অল্প জায়গার মধ্যে যেভাবে অনেক মানুষ বাস করে, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা এমন হবে। আগামী শহরে মানুষের স্রোত আরো বাড়বে। বর্তমানে মানুষ যে জ্বারানি ব্যবহার করছে তার ৮৬ শতাংশ আসছে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে। মোট জ্বালানির মাত্র ১০ শতাংশ আসছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে। ২০১০ থেকে ২০১৫ সারে বিশ্বব্যাপী সৌর শক্তির ব্যবহার বেড়ে সাড়ে ৭ গুণ বেশি। তবে ভবিষ্যতে এক সময় জীবাশ্ম জ্বালানির উৎস শেষ হবে। তখন জ্বালানির অন্যতম উৎস হবে নবায়নযোগ্য শক্তি। মানুষ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্ম সংস্থান সেভাবে বাড়বে না। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, আগামীতে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ অফিস কাজ চালাবে রোবট বা কম্পিউটারাইজ পদ্ধতিতে। টেলিমার্কেট, অ্যাকাউনট্যান্ট ও ট্যাক্সি চালনো কাজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে করার ব্যবস্থা করা হবে ভবিষ্যতে। অটোমেশিনের কারণে আগামীতে শ্রমিকের চাহিদাও কমবে। ফলে কর্মসংস্থানের নিয়ে সমস্যায় পড়বে মানুষ।


     এই বিভাগের আরো খবর