,

গাজরের গুনাগুন

সময় ডেস্ক ॥ সুস্বাদু ও পুষ্টিকর শীতকালীন শাক সবজির মধ্যে অন্যতম পুষ্টিকর সবজি গাজর। গাজরের প্রায় ১০০টি ভিন্ন ধরনের প্রজাতি রয়েছে। গাজরে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল। যেমন- থায়ামিন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি৬, ফলেইট এবং ম্যাংগানিজ যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক জরুরী। এছাড়াও গাজরে আরও আছে ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে ও পটাশিয়াম। অর্থাৎ আমাদের দেহকে সুস্থ সবল রাখতে যে সব ভিটামিন ও খনিজ উপাদান প্রয়োজন তার সবই আছে গাজরে। গাজরকে বলা হয় সর্বগুণে গুণান্বিত সবজি। আসুন দেখে নিই গাজরের এত সব উপকারিতার মধ্যে প্রথম ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতার একটি তালিকা। লিভার সুস্থ রাখে:- গাজর একটি ডেটক্স খাদ্য হিসেবে পরিচিত। ডেটক্স খাদ্য সমূহ লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। গাজর লিভারকে পরিস্কার করে। লিভারঘটিত সকল ধরনের রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। গাজর লিভারে জমে থাকা মেদ দূর করতে সব থেকে কার্যকরী একটি ওষুধ। চোখের সুরক্ষায় গাজর:- গাজর ভিটামিন এ তে সমৃদ্ধ। ভিটামিন এ চোখের সুরক্ষায় কাজ করে। এছাড়াও গাজরের বিটা ক্যারোটিন লিভারে ভিটামিন এতে পরিনত হয় যা সরাসরি রেটিনাতে পৌছায়। তারপর এই ভিটামিন এ রেটিনা থেকে রডোপ্রসিনে এ যায়। রডোপ্রসিনে একটি হালকা বেগুনি রঙের পিগমেনট যা রাতেরবেলার দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। সুতরাং গাজর রাতকানা রোগ থেকে আমাদের দূরে রাখে। দাঁতের সুরক্ষায় গাজর :- দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় গাজরের গুরুত্ব অনেক বেশি। গাজর খেলে দাঁত পরিষ্কার হয়। দাঁতে জমে থাকা প্লাক দূর হয়। ডাক্তাররা বলেন গাজর খাওয়ার সময় আমাদের মুখে ‘সিলভা’ নামক একটি যৌগের নিঃসরণ ঘটে। সিলভা মুখে অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখে যা দাঁতের ক্ষয়ের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। প্রতিদিন একটি করে গাজর খেলে মাড়ি ও দাঁতের সমস্যা দূর করে। চেহারার বয়সের ছাপ দূর করে :- গাজরে বিদ্যমান বিটা ক্যারোটিন ত্বকের ক্ষতি পূরণ করতে সাহায্য করে। বিটা ক্যারোটিন খুব ভালো একটি অ্যান্টি এইজিং এর উপাদান যা মুখের বয়সজনিত দাগ ও রিঙ্কেল দূর করে। গাজর খেলে মুখে বয়সের ছাপ ধীরগতিতে আসে। গবেষকরা বলেন সপ্তাহে ৬টি গাজর চেহারার বয়সের ছাপ দূর করে। ক্যান্সার প্রতিরোধক :- গবেষকরা আবিষ্কার করেন গাজর ফুসফুসের ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। ফ্যালকারিওনল ও ফ্যালকারিনডিওল দুটি ক্যান্সার প্রতিরোধী যৌগ, যারা দেহে ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি করতে বাধা প্রদান করে। গাজরে এই দুটি যৌগ প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদন হয়। গাজর খেলে দেহ ভেতর ত্থেকে নিজেকে ক্যান্সার বিরোধী করে গড়ে উঠতে সহায়তা করে। এছাড়াও গাজর চামড়ার ক্যান্সারও প্রতিরোধ করে। গবেষকদের মতে যারা নিয়মিত গাজর খান তাদের প্রায় ৭০% মানুষ চামড়ার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যান।


     এই বিভাগের আরো খবর