,

বানিয়াচঙ্গে বন্যায় ভেসে গেল কোটি টাকার মাছ

বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥ মৎস্য খামারে কোটি টাকার উপর বিনিয়োগ করেছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন। জৈষ্ঠ্য মাসেই খামার থেকে কয়েক কোটি টাকা লাভ করার স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি। কিন্তু অকাল বন্যা তাঁর স্বপ্ন ভেঙ্গে খানখান করে দিয়েছে। বানের জলে মাছ ভেসে যাওয়ায় তিনি নি:স্ব হয়ে পড়েছেন। সবকিছু হারিয়ে তিনি এখন দিশেহারা। বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের পূর্ব-বাজুকা গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন প্রায় ১৩ একর সরকারী জমি লীজ নেন। ওই জমির পাশে নিজের জমিসহ সব মিলিয়ে ৪শ’ বিঘা জমিতে জুবেদা-গনি এগ্রোপার্ক এন্ড ফিশারীজ নামে মৎস্য খামার স্থাপন করেন। এতে তিনি কোটি টাকার উপরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ শুরু করেন। ওই ফিশারীরর পাশেই আরো প্রায় ২৫ বিঘা জমিতে আরেকটি ফিশারী স্থাপন করেন। এই ফিশারীতে ২০ লাখ টাকার বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করেন তিনি। উভয় ফিশারীর মাছ জৈষ্ঠ্য মাসে বিক্রি করার কথা ছিল। তাতে প্রায় ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা লাভ হত। কিন্তু সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে অকাল বন্যার পানি ফিশারীতে ঢুকে পরে। এতে করে সব মাছ ভাসিয়ে নিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ফিশারীর চারপাড়ে জাল ও পাটিবাধ দিয়ে মাছ আটকানোর প্রাণপণ চেষ্টা করেন। এতে উপকরণ এবং শ্রমিক খরচসহ আরো প্রায় লাখ টাকা ব্যয় হয় তার। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। পানির তোড়ে পাটিবাঁধ ভেঙ্গে পানি ভেতরে ঢুকে পড়ায় সব মাছ ভেসে যায়। সব হারিয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন এখন দিশেহারা হয়ে পাগল প্রায় অবস্থা। এ ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ফজলুর রহমান জানান, আমাদের গ্রামের গণি মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দেশে এসে কয়েক কোটি টাকা বিনিয়োগ করে মাছের খামার গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু অকাল বন্যায় তার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। খামার মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দেশে এসে কিছু করার স্বপ্ন নিয়েই খামার করেছিলাম। আমার খামারে ৪০জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করত। কোটি টাকার উপরে বিনিয়োগ করেছিলাম। আশা ছিল জৈষ্ঠ্য মাসে মাছ বিক্রি হলে কয়েক কোটি টাকা ইনকাম হবে। কিন্তু বন্যায় আমার সব স্বপ্নসাধ ভেঙ্গে দিয়েছে। এ ক্ষতি কিভাবে পুষিয়ে নেব তা ভেবে পাচ্ছিনা। পরিবার পরিজন নিয়ে এখন অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। সরকারের কাছে আমাদের দাবী আমিসহ যারা সহায়-সম্বল হারিয়েছি তাদের দিকে একটু নজর দেয়ার জন্য।


     এই বিভাগের আরো খবর