,

ভেজাল সয়াবিন তেলে সয়লাব নবীগঞ্জের হাটবাজার

এস.এস. আহমদ ॥ দেশের প্রতিটি পরিবারেরই ভোজ্য তেলের প্রয়োজন। ভোজ্য তেল ছাড়া কোন কিছু রান্না করা সম্ভব হয়না। এই ভোজ্য তেলে ও ইদানিং বিভিন্ন ভেজাল এরই মধ্যে সয়াবিন তেলই প্রধান। ইদানিং দেখা গেছে ভেজাল সয়াবিন তেলে সয়লাব নবীগঞ্জ উপজেলাজুরে। ইদানিং বিভিন্ন ব্যান্ডের ভেজাল সয়াবিন তেলে সয়লাব ও স্থান পাচ্ছে-নবীগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট বাজার সহ গ্রাম এলাকার বিভিন্ন টং দোকানে এবং প্রতিটি বোতলের গায়ে লিখা থাকে ৫শত/এক হাজার গ্রাম। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রতিটি বোতলে ক্রেতাদের ঠকানো হচ্ছে ৫০ গ্রাম থেকে ১শত গ্রাম তেল। একদিকে যেমন বোতলে ঠকানো হচ্ছে তেল। অপরদিকে তেলের গুনগত মান নিয়ে ও রয়েছে অনেক অভিযোগ। অনেকে বলছেন পাম-ওয়েল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এসব সয়াবিন তেলের বোতল এবং তাহা বাজারজাত করা হচ্ছে। এসব তেল বাড়িতে নিলে বিভিন্ন রং দেখা যায়, ওই তেল কালো, হলুদ, নীল, আবার ঝকঝকে সাদা রং ধারণ করে। দীর্ঘ দিন যাবত নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজার সমুহে বিভিন্ন নামের ও বিভিন্ন ব্যান্ডের ভেজাল সয়াবিন তেল বিক্রি করা হচ্ছে। এসব তেল খেয়ে জনসাধারণ বিভিন্ন রোগে রোগাক্রান্ত হচ্ছেন এবং অনেকে দীর্ঘ দিন খেয়ে বিভিন্ন জঠিল ও কঠিন রোগে রোগাক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নবীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ছোট বড় বাজার মিলে প্রায় অর্ধশত বাজার রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন গ্রামের আনাচে-কানাছে অসংখ্য টং দোকান ও রয়েছে। বিভিন্ন টং দোকানে রাখা হচ্ছে এসব নিম্ন মানের সয়াবিন তেল। দোকানিরা দেদারছে বিক্রি করছেন পামওয়েল দিয়ে তৈরি সয়াবিন তেল। নবীগঞ্জের হাঠ-বাজারে ইদানিং আরো দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ব্যান্ডের তেল যেমন-মুক্তি, শক্তি, তাজা, পিওর, আর.বি, সুপার গোল্ড, নুরজান, নামের বিভিন্ন ব্যান্ডের তেল এখন নবীগঞ্জের হাটবাজার সমূহ দখল করে রেখেছে। গ্রাম্য দোকানদার নানু মিয়া জানান, উন্নত মানের ব্যান্ডের সয়াবিন তেল গ্রাম এলাকায় বিক্রি হয়না। বিক্রি হলেও মুনাফা কম পাওয়া যায়। তাই তিনি এসব তেল বিক্রি করতে মহাব্যস্ত এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উপটৌকন বা গিফট পাওয়া যায় । এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য টিএইচও জাহাঙ্গীর আলম জানান, ভোজ্য তেলের ব্যাপারে তিনি কোন অভিযোগ পাননি এবং অভিযোগ পেলেও তার কিছু করার নেই, কারণ ইহা তদারকি করেন স্যানেটারি লোকজন। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা স্যানেটারি ইন্সফ্যাক্টর নুরে আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান-সয়াবিন তেলে ভেজাল দেখা আমার দায়িত্ব নয়, আমার শুধু দায়িত্ব মেয়াদোত্তীর্ণ মালের তদারকি করা। এসব বিষয়ের তদারকি ও দেখা শোনা করেন বিএসটিআই এর লোকজন। তারা সিলেট থেকে মাঝে মধ্যে নবীগঞ্জে আসেন এবং তদারকি করে থাকেন। নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন মনে করেন ভেজাল সয়াবিন তেল ব্যবসা ও বন্ধের নিয়ন্ত্রনে সরকারের সংশ্লিষ্ঠ দায়িত্বে থাকা লোকজনদের আন্তরিকতা থাকলে সম্ভব। নতুবা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাবে এসব ভেজাল পামওয়েল দিয়ে তৈরি সয়াবিন তেল বিক্রি।


     এই বিভাগের আরো খবর