,

নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ভিজিডির সাড়ে ৮ লক্ষ টাকার চাল আত্মসাতে তোলপাড় : দায় নিতে চান না বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ৮নং সদর ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের ভিজিডির চাল চেয়ারম্যান ও মেম্বার কর্তৃক আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে গত ৭ ও ৮ মার্চ জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন হালেমা বেগম, রুবিনা বেগম, সঞ্জু রানী দেব, শিরিনা বেগম, রোজিয়া বেগম, নুর জাহান, রাহিমা, লাইলী বেগম, মার্জিয়া বেগম, পৌরস বিবি, মালেকা, শাহেনা বেগম, জায়দা বেগম, আফিয়া বেগম, আয়শা বেগম, সোনা বানু, হুসনা বেগম, আম্বিয়া খাতুন, স্বপ্না বেগম, আমিনা বেগম, জুবেদা, ছামিরুন বেগম, সুমিত্র সরকার, সমিতা দাশ, জয়ফুল, শিরিয়া, অমরচান বিবি ও সুমি সরকার সহ ১১১ জন হতদরিদ্র। এ ঘটনায় নবীগঞ্জের সর্বত্র আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। অভিযোগ বিবরণে জানাযায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয় ভিজিডি কার্ড উপজেলার ৮নং নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের প্রায় ১১১ জন হতদরিদ্র ভিজিডি কার্ডধারী ৬ মাসের চাল পাননি। বরাদ্ধকৃত ১১১ জনের ৩০ কেজি করে ৬ মাসের মোট ১৯ হাজার ৯ শত ৮০ কেজি ভিজিডির চাল ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মেম্বারগণ দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে আত্মসাত করেন। যার আনুমানিক বাজার মূল্যে সাড়ে আট লক্ষ টাকা। এ ব্যাপারে বর্তমান চেয়ারম্যান জাবেদুল আলম চৌধুরী সাজু’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পূর্বে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা ৬ মাসের চাল সময়মত বিতরণ করতে পারেননি। পরে তারা ২ মাসের চাল বিতরণ করলেও বাকী ৪ মাসের চাল আমার আমলে নিয়ম মোতাবেক সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে চাল বিতরণ সম্পন্ন করেছি। এ ব্যাপারে কোন অনিয়ম হয়নি। একটি মহল আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সাজানো অভিযোগ দায়ের করেছে। সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মুক্তাদির চৌধূরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার আমলে যে সমস্থ ভিজিডির চাল বিতরণ করা হয়েছে প্রত্যেক সময়ে সময়ে সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাকে সামনে রেখে স্বচ্চভাবে চাল বিতরণ করা হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর