,

স্বস্তিপুরে বায়োগ্যাস প্লান্ট উদ্বোধনকালে এমপি কেয়া চৌধুরী- শেখ হাসিনার অঙ্গীকার-বিকল্প জ্বালানী হিসেবে বায়ো গ্যাসের ব্যবহার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবল উপজেলা হাওর পাহাড় আর চা-বাগান ঘেরা মধ্যে শহর। এখানের প্রায় স্থানেই কৃষকরা গরু পালন করছেন। যদিও গরুর গোবর ব্যবহার করে তারা বিষমুক্ত ফসল চাষ করে আসছেন। এখন থেকে প্রথমে গরুর গোবর ব্যবহার হবে বায়ো গ্যাস প্লান্টে। পরে এ গোবর দিয়ে তৈরী হবে প্রাকৃতিক সার। এ সার প্রয়োগে উৎপাদিত হবে বিষমুক্ত ফসল। আর সুযোগটি তৈরী করে দিয়েছে ইমপ্যাক্ট প্রকল্প (ফেজ-২) এর আওতায় বায়ো গ্যাস প্রকল্প। সরকার থেকে এ প্রকল্পটি বাহুবলে নিয়ে এসেছেন যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাহুবলের কৃতি সন্তান এমপি কেয়া চৌধুরী। এ প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি কৃষকদের মধ্যে সরকারী সহায়তা বিতরণ করছেন। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার স্বস্তিপুর গ্রামের আফজাল মিয়া, তার ভাই আব্দুল্লাহ মিয়া, আব্দুল আউয়াল মিয়ার বাড়িতে বায়ো গ্যাস উদ্বোধন করেছেন এমপি কেয়া চৌধুরী। এরপূর্বে তাদেরকে সরকারীভাবে আর্থিক সহায়তা করেন তিনি। এ সহায়তায় বায়ো গ্যাস প্লান্টগুলো তৈরীতে পরামর্শ দিয়েছে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। একই সাথে এ ধরণের প্লান্ট তৈরী করার জন্য সরকারী ভর্তুকীর টাকা উপজেলার চক্রামপুরের নুরে আলম ও হাফিজপুরের মাসুক আহমেদের মধ্যে তিনি বিতরণ করেন। ইতোমধ্যে এ উপজেলার ৩৭ জন কৃষকের বাড়িতে এ বায়ো গ্যাস প্লান্ট তৈরী করে জ্বালানী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ১৩টি প্লান্টের। অচিরেই প্রকৃত কৃষকের বাড়ি বাড়ি বাকী প্লান্ট তৈরী করে কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। সূত্র জানায়, এমপি কেয়া চৌধুরীর নেতৃত্বে ২০১৭ সালের জুন মাসের ভেতরে উপজেলায় অর্ধশতাধিক কৃষককের বাড়িতে বায়ো গ্যাস প্লান্ট তৈরী করে পরিবেশ বান্ধব নিরাপদ জ্বালানী ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করছে উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। বায়ো গ্যাস উদ্বোধনী সভায় এমপি কেয়া চৌধুরী বলেন- জননেত্রী শেখ হাসিনা’র অঙ্গীকার-বিকল্প জ্বালানী হিসেবে বায়ো গ্যাসের ব্যবহার। কারণ খনির গ্যাসে চলছে শিল্প। বায়ো গ্যাস করছে কৃষকের ঘর আলোকিত। তিনি বলেন, তাই আমি বাহুবলের ঘরে ঘরে বায়ো গ্যাস পৌঁছাতে সরকারের কাছ থেকে এ প্রকল্পটি নিয়ে এসেছি। তিনি বলেন, যুবরাই গড়বে, সোনার বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ সরকারের অগ্রাধিকার খাত পরিবেশ বান্ধব বিকল্প জ্বালানী বায়োগ্যাস প্লান্ট। গরুর বর্জ দিয়ে উৎপন্ন গ্যাসে বাড়ীতে সাশ্রয়ী জ্বালানী। তার সাথে উৎকৃষ্ট মানের সার উৎপাদন। প্রত্যেক উদ্যোক্তার জন্য রয়েছে ৫ হাজার টাকা করে, সরকারী ভর্তুকী। সব কিছু মিলিয়ে যুবকদের আত্মকর্মস্থানে ‘বায়োগ্যাস প্রকল্প’ হতে পারে একজন যুবকের জন্য চমৎকার একটি সফল উদ্যোগ। এ প্রকল্পটি সফলভাবে কার্যকর করতে সব যুবকদের পাশে আছে আওয়ামী লীগ সরকারের যুব-উন্নয়নে অধিদপ্তর। এজন্য তিনি জেলা ও উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশংসা করে বলেন, প্রকল্পটি সফল করতে সবার সহযোগীতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, প্রকল্পটির ক্রার্যক্রম চলমান রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমি চাই সবার ঘরে ঘরে জ্বালানী সংকট নিরসনে বায়ো গ্যাস পৌঁছে দিতে। এজন্য সবার দোয়া কামনা করছি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জসীম উদ্দীন, উপজেলা যুব-উন্নয়ন অফিসার আলহাজ্ব মোঃ হোসেন শাহ, উপ-সহকারী বায়ো গ্যাস প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ বাবু, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুনুর রশিদ সোহাগ, যুবলীগ নেতা মনির হোসেন, পারুল মিয়া, পুটিজুরী এসসি উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক কানু প্রিয় চক্রবর্তী প্রমুখ। এ সময় আওয়ামী পরিবারের নেতাকর্মী, তৃণমূলের শত শত লোকজন উপস্থিত ছিলেন।


     এই বিভাগের আরো খবর