,

১১ মাস পর আইনী লড়াই করে অবশেষে বিজয়ী হলেন নবীগঞ্জের ইউপি সদস্যা মায়ারুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচনের সাড়ে ১১ মাস পর আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে বিজয়ী হলেন নবীগঞ্জের মায়ারুন আক্তার। গত ১৬ মে হবিগঞ্জ নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ মায়ারুন আক্তারকে বিজয়ী ঘোষণা করে রায় প্রদান করেন। রায়ের ফলে মায়ারুন আক্তার নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার নির্বাচিত হলেন। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ইং সালের ২৮ মে’র দেবপাড়া ইউনিয়নের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়। ওই ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে মায়ারুন আক্তার এবং হোছনা বেগম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচন চলাকালে ওই ৩টি ওয়ার্ডে কোনরূপ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু প্রিজাইডিং অফিসার ৮নং ওয়ার্ডের কেন্দ্র দেবপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৯নং ওয়ার্ডের কেন্দ্র দিনারপুর আইনগাঁও মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট গণনা হলেও কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা করেননি। কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয় মায়ারুনের এজেন্টকে। কিন্তু এজেন্ট থেকে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী নির্বাচনে প্রথমে মায়ারুন আক্তার বিজয়ী হিসেবে তার পক্ষে আনন্দ মিছিলও করা হয়। পরবর্তীতে হবিগঞ্জ রিটার্নিং অফিসার হোসনা বেগমকে বিজয়ী দেখিয়ে ফলাফল ঘোষণা করেন। এর পর এ ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে মায়ারুন আক্তার বাদী হয়ে ২০১৬ইং সনের ৩০ জুন হবিগঞ্জ নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল জজ আদালত ও সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩/২০১৬। এর প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত গত ১৬ মে ট্রাইব্যুনালের তত্বাবধানে ওই ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের ভোট পুনঃগণনা করা হয়। এতে প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী ৩টি কেন্দ্রে মায়ারুন আক্তার ১ হাজার ৬৬৮ ভোট এবং হোসনা বেগম ১ হাজার ৬৪৫ভোট পান। এতে ২৩ ভোটের ব্যবধানে মায়ারুন আক্তারকে দেবপাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসন-৩ (৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড) এ নির্বাচিত বলে ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক তানভীর আহমেদ মামলার রায় প্রদান করেন। আদেশের অনুলিপি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ঢাকা, জেলা নির্বাচন অফিসার, হবিগঞ্জ জেলা, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্ণিং অফিসার, ১০নং দেবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-২০১৬ বরাবরে প্রেরণের জন্য আদেশে বলা হয়েছে। মায়ারুন আক্তারের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিজ্ঞ আইনজীবী জসিম উদ্দিন। এ ব্যাপারে মায়ারুন আক্তার জানান, আমি বিজ্ঞ আদালত থেকে ন্যায় বিচার পেয়েছি।


     এই বিভাগের আরো খবর