,

হবিগঞ্জের উমেদনগরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রেমিকাকে ধর্ষণ

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রেমিকাকে ধর্ষণ করেছে লম্পট প্রেমিক। পরে বিয়ে না করায় প্রেমিকার মামলায় ওয়াবাদুল মিয়া (২৫) কে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার গভীর রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জা মাহমুদুল করিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ নিয়ে বালিখাল নদীর একটি নৌকার ভেতর থেকে তাকে গ্রেফতার করে। মামলার বিবরণে জানা যায়, উমেদনগর গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের কন্যা আশরাফুল আক্তার (১৮) এর সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় বানিয়াচং উপজেলার বালিখাল শ্যামপুর গ্রামের আলম মিয়ার পুত্র ওয়াবদুলের। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রায়ই তারা আনন্দ ভ্রমনে যেতো। আশরাফুলের বাড়ির লোকজন ঘুমিয়ে থাকার সুবাদে গত ১২ জানুয়ারি রাতে ওয়াবাদুল দেখা করতে যায়। ওইদিন রাতে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে ওয়াবাদুল। এ ছাড়াও গত ১৬ ও ২৬ জানুয়ারি একইভাবে তাকে ধর্ষণ করে লম্পট ওয়াবাদুল। এরপর থেকে ওয়াবাদুল তার ফোন বন্ধ করে দেয়। অনেক খোঁজাখুজি করেও আশরাফুল আক্তার ওয়াবাদুলের দেখা পায়নি। এদিকে ওয়াবাদুলের পিতা-মাতা ২৭ জানুয়ারি শিকারপুর গ্রামের সুরত আলীর কন্যা তাহমিনার সাথে ওয়াবাদুলের সাথে বিয়ে ঠিক করে। বিষয়টি শুনে বিয়ের দিন আশরাফুল আক্তার ছুটে যায় ওয়াবাদুলের বাড়িতে। সেখানে বিয়ের দাবিতে অনশন করে। এক পর্যায়ে সে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে তার স্বজনরা উদ্ধার করে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পর তাহমিনার সাথে ওয়াবাদুলের বিয়ে ভেঙ্গে যায়। এরপর ওয়াবাদুল কৌশলে আশরাফুল আক্তারকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যায়। এরপর সে আবারো আত্মগোপনে চলে যায়। অবশেষে ওয়াবাদুলের সন্ধান না পেয়ে আশরাফুল আক্তার গত শনিবার সদর থানায় মামলা দায়ের করে। এ মামলা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে রবিবার আদালতে প্রেরণ করে এবং আশরাফুল আক্তারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে তাকে তার মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়। এসআই মাহমুদুল করিম জানান, প্রাথমিকভাবে সে ঘটনা শিকার না করলেও তাকে রিমান্ডে আনা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর