,

চাচীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা : মোবাইল ফোনে ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জের সীমান্তবর্তী মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের কেশবচর গ্রামে আপন চাচীকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেছে এক লম্পট। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২২মে বিভাগীয় শহর সিলেটের নুরজাহান হাসপাতালে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সর্বত্র আলোচনা সমালোচনা ও তোলপাড় এবং নিন্দার ঝড় বইছে। জানা যায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের কেশবচর গ্রামের (বর্তমানে নবীগঞ্জের আউশকান্দি বাজারে বসবাস করেন) অসুস্থ ছালিক মিয়া গত কয়েক দিন ধরে ছালিক মিয়া অসুস্থ হলে তার স্ত্রী (৩২) স্বামীকে সিলেট নুরজাহান হাসপাতলে নিয়ে ভর্তি করেন। ছালিক মিয়ার অসুস্থতার খবর পেয়ে তারই বড় ভাই নামদার মিয়ার ছেলে আউশকান্দি বাজারের জালালাবাদ হোমিও ফার্মেসীর পরিচালক ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য জুয়েল আহমেদ চাচাকে দেখতে নুরজাহান হাসপাতালে যায়। এসময় অসুস্থ বৃদ্ধ চাচা ছালিক মিয়ার স্ত্রীর প্রতি জুয়েলের কু-দৃষ্টি পরে। সে অসুস্থ চাচার পাশে থাকার বাহানা করে রাতে হাসপাতালে তাদের কক্ষে থেকে যায়। রাত একটু গভীর হতেই লম্পট জুয়েল তার চাচীর বিছানায় গিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। দীর্ঘক্ষন বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোর পূর্বক চাচীকে ধর্ষনে ব্যর্থ হয় লম্পট জুয়েল। পরে তার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে তার চাচীর শরীরে বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে ভিডিওও ছবি ধারন করে হুমকি দেয় বিষয়টি কাউকে জানালে ওই সব ভিডিও ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবে বলে হুমকি দেয় লম্পট জুয়েল। পরে বিষয়টি ওই মহিলা তার স্বামীসহ আত্মীয় স্বজনদের জানিয়ে দিলে লোকজন বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে নির্যাতিত মহিলা ও তার ভাই আউশকান্দি বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানান। এব্যাপারে নির্যাতিত মহিলা এ প্রতিনিধিকে বিস্তারিত বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। তিনি জানান, এ ঘটনা স্থানীয় লোকজনকে জানালে লম্পট জুয়েল ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে বলে হুমকি দেয়। এতে চাচী আত্মসম্মানের ভয়ে উক্ত ঘটনার বিষয়টি নিরবে সহ্য করে রয়েছেন। এ ব্যাপারে আউশকান্দি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মুর্শেদ আহমদ জানান, ‘চাচীকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এব্যাপারে অভিযুক্ত জুয়েল আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গেলে দেখা যায় দরজায় তালা ঝুলছে। এব্যাপারে অভিযুক্ত ফয়েজ আহমেদ জুয়েল এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।


     এই বিভাগের আরো খবর